প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশর একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না। দেশের মানুষ যাতে কষ্ট না পায়, তার ব্যবস্থা করা হবে। সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, প্রাকৃতিক দূর্যোগে আশ্রয়ের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেখানে যেখানে বাঁধ ভেঙ্গে গেছে, তা নির্মানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। যাদের ঘর-বাড়ী ভেঙ্গে গেছে, তাদের ঘর-বাড়ীর ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রান বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিঁনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আপনারা নৌকায় ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন, আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে বলে দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বন্যায় যেসকল কৃষকদের ক্ষতি হয়েছে তাদের সার-বীজের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে তারা পুনরায় ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন বিনা পয়সায় শিক্ষার্থীদের বই দেয়া হয়েছে। চাকরীর পিছনে সময় ব্যয় না করে উদ্যোক্তা সৃষ্টি করতে হবে। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা থেকে আপনারা পাঁচ ঘন্টায় এবং বরিশাল থেকে দুই ঘন্টায় কলাপাড়ায় আসতে পারেন। পায়রা বন্দর এবং তাপবিদ্যুৎ স্থাপনের কারনে এলাকার মানুষের কর্মস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্মল কুমার নন্দী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো.মুহিববুর রহমান এম পি, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সম্পাদক বাহউদ্দিন নাসিম এম পি, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, পটুয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য আ.স.ম ফিরোজ, বরগুনা-২আসনের সংসদ সদস্য নাদিরা সুলতানা সহ নেতৃবৃন্দ।
এর আগে দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটের সময় প্রধানমন্ত্রী হেলিকাপ্টার যোগে কলাপাড়া মডেল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হ্যালিপ্যাড মাঠে অবতরন করেন এবং সড়কপথে মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ মাঠে ত্রান বিতরনী অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এসময় তিনি প্রায় ১০ মিনিট জনতার উদ্দেশ্যে ভাষন দেন। তবে তাকে দেখতে কিংবা ভাষন শোনার জন্য সকাল ৮ টা থেকে মানুষ আসতে থাকে সমাবেশস্থলে। এতে অন্ততঃ লক্ষাধিক মানুষ উপস্থিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
এছাড়া কলাপাড়া হেলিপ্যাড থেকে মোজাহার উদ্দিন কলেজ মাঠ পর্যন্ত সড়কের দু’পাশে অসংখ্য মানুষ অপেক্ষমান ছিল সকাল থেকেই। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী সড়ক পথে কলাপাড়া -কুয়াকাটা রুটের শেখ কামাল সেতু পরিদর্শন করেন। পরে সে হেলিকাপ্টার যোগে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবতরন করেন, সেখানে সে বিভাগীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভা শেষে বিকেল তিনটায় তিনি ঢাকার উদ্দেশ্য রওয়ানা করেছেন।
উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী,বৃহস্পতিবার ৩০ মে এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।