মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে পটুয়াখালী কলাপাড়ায় আজও অতিভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ছয়টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত তিন ঘন্টায় ৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিস। আর গত ২৪ ঘন্টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। গত আট দিনের টানা ভারী বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বিপাকে পড়েছেন নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবিরা। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে অনেক নিচু স্থানে। তলিয়ে গেছে অসংখ্য রাস্তাঘাট সহ ঘরবাড়ি। ভেসে গেছে অসংখ্য ঘের ও পুকুরে মাছ। এছাড়া ক্ষতিরমুখে পড়েছেন সবজী চাষিরা। তবে আগামী ২৪ ঘন্টা উপকূলীয় এলাকায় এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।
বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে অনেক এলাকা। রাস্তাঘাট ডুবে বৃষ্টির পানি ঢুকে অনেকেরই বসতবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
বিশেষ করে পৌরসভার রহমাতপুর এলাকার অনেক বসত ঘরে হাটু সমান পানি থই থই করেছে। তাদের উনুনে হারি ওঠেনি। ভূক্তভোগীদের অভিযোগ খাল দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা সচল না থাকায় তারা এমন অবস্থায় পরেছেন। এদিকে অতিবৃষ্টির ফলে অনেকের সবজি ক্ষেত তলিয়ে রয়েছে। পানি সরে না গেলে ক্ষেত নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশংকা করেছে কৃষকরা। পৌরসভার রহমাতপুরের বাসিন্দা সুশিল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, বৃষ্টির পানিতে তাদের বসতঘর তলিয়ে রয়েছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে এমন আবস্থার সৃষ্টি হয়।
একই এলাকার মাধব চন্দ্র হাওলাদার বলেন, তাদের ঘরের মধ্যে কোমর সমান পানি উঠেছে। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে তিনি আতঙ্কে রয়েছেন। এমনকি রান্না বান্নাও হয়নি দুই দিন ধরে। এ বৃষ্টির পানি কবে কমবে তা বলতে পাড়ছেনা। তবে এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছেন তিনি।
কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার বলেন, পৌর শহরের খালের উপর অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে জেলা ও উপজেলার মিটিংয়ে অবগত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের কাজ চলছে। আশাকরি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে পানি নিষ্কাশনে ব্যবস্থা হবে।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, যদি কেউ খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করে শীঘ্রই তা উচ্ছেদ করা হবে।
উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী,শুক্রবার ০৫ জুলাই এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।