বাংলা ১৪৩১ সালকে বরণ করে নিতে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সব গ্লানি দূর করে নতুনকে আপন করে প্রত্যাশার ঢালিতে সুন্দরগুলো জমা পরুক আর বাংলাদেশ হোক আলোকিত। এই লক্ষ্যে ‘আমরা তো তিমির বিনাশী’ প্রতিপাদ্যে এবারের বর্ষবরণ উৎসবের মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষ হলো।রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড এ এস এম মাকসুদ কামাল।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী দীপু মনি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম ও ডিএমপি কমিশনার এতে অংশ নেন। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
মঙ্গল শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুরো এলাকা কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মোড়ানো ছিল। মাঝপথে কারও শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল না। কারণ চতুর্দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বয়ে মানবপ্রাচীর গঠন করা হয়।
শোভাযাত্রাটি শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে দিয়ে ঘুরে ফের শাহবাগ হয়ে টিএসসিতে গিয়ে শেষ হয়। এ আয়োজনের পরবর্তী অংশে চারুকলার বকুলতলার মঞ্চে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে বাউল গান।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে চালু হওয়া এ মঙ্গল শোভাযাত্রা। চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। সেবারই এ উৎসব সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। এরপর থেকে বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে এটি। ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এ আনন্দ শোভাযাত্রা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম ধারণ করে।
ঢাকা,রোববার ১৪ এপ্রিল এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।