টানা ভারী বর্ষণ ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ক্ষণে ক্ষণে বাড়ছে পানি। এতে জেলাগুলোর নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৮ জুন) সিলেট ও সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরসহ সব পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন জানান, পরবর্তী নিদের্শনা দেয়া না পর্যন্ত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে আজ মঙ্গলবার (১৮ জুন)।
সিলেট জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এর আগে বন্যা পরিস্থিতির জন্য গত ৩০ মে প্রথম দফায় জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করেছিল উপজেলা প্রশাসন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে গত ৭ জুন পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেয়া হয়। এর ফলে সিলেটে বেড়াতে আসা মানুষজনের উপস্থিতি বাড়ছিল।জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, সিটি করপেরেশন এলাকাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪১ লাখ ১১ হাজার ৮৩৫ জন বাসিন্দার মধ্যে অন্তত ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। প্লাবিত হয়েছে সিসিকের ৪২ ওয়ার্ড, পাঁচ পৌরসভা ও ১৩ উপজেলার ৮৭ ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। প্লাবিত গ্রামের সংখ্যা ৮৬৪। ৬১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে ৩ হাজার ৯২৪ জন আশ্রয় নিয়েছে।
বিশেষ করে গোয়াইনঘাট ও কোম্পানিগঞ্জে উপজেলা পৃথকভাবে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়েছেন। কানাইঘাটে পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।
সিলেটের বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের একটি উপকেন্দ্রে বন্যার পানি ঢুকে বন্ধ হওয়ার উপক্রম। কেন্দ্রটি সচল রাখতে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। নগরের তালতলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের জলাবদ্ধতা দেখা গিয়েছে। পানি ওঠার আগেই সংশ্লিষ্টরা জরুরি জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদুল ইসলাম বন্যা কবলিত অনেক এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করে জানান, ঈদের দিন থেকে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় মানুষের বাড়িতে পানি উঠেছে। সাধারণ মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। উপজেলায় বন্যা কবলিতদের নৌকা দিয়ে উদ্ধারে জন্য কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩৩৩ হেল্প লাইনে ফোন করলে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
সিলেট,মঙ্গলবার ১৮ জুন এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।