বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এমপি আনারকে হত্যার পর ছিন্নভিন্ন দেহ তিনটি ট্রলিব্যাগে করে ফ্ল্যাট থেকে নিয়ে যান হত্যাকারীরা।সেখানকার পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ১৩ মে তারিখ দুপুরের পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল নিউটাউনের অভিজাত আবাসন সঞ্জীবা গার্ডেনে।
সে সময় তার সঙ্গে ছিলেন দুই পুরুষ ও এক নারী। তারা চারজনেই ওঠেন আবাসনের বি ইউ ব্লকের ৫৬ নম্বর ফ্ল্যাটে।
রক্তের দাগ ও একাধিক পায়ের চিহ্ন দেখে পুলিশের অনুমান, ওই রাতে চারজন একসঙ্গেই ছিলেন। এরপর সেখানে তাকে হত্যা করা হয়। পরে লাগেজে করে মরদেহের টুকরো বের করে নেয় দুষ্কৃতকারীরা। এ কাজ করতে সময় লাগে তিন দিন। তারা পরিকল্পিতভাবে প্রতিদিনই লাগেজ নিয়ে একজন করে বের হয়েছে। পুলিশের অনুমান, প্রথমে বের হন ওই নারী। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। তবে কারা গ্রেপ্তার হয়েছেন, তারা বাংলাদেশি নাকি ভারতীয় এ নিয়ে পুলিশ মুখ খোলেনি।রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, এখনই তদন্তের স্বার্থে কিছু বলব না। গোয়েন্দা প্রধান জানান, সিসিটিভি ফুটেজ ও লিংকম্যানের মাধ্যমে তদন্ত শিগগিরই শেষ হবে।
পুলিশ জানায়, ওই ফ্ল্যাটের মালিক সন্দীপ রায়। তিনি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি বিভাগে রয়েছেন। অথচ তিনি ফ্ল্যাটটি ভাড়া দিয়েছিলেন, আখতারুজ্জামান নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক বাংলাদেশিকে। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ওই বাংলাদেশি কোথায়? পুলিশ বলছে, এখনই এ নিয়ে কোনো তথ্য দেব না। তবে পুলিশ নিশ্চিত, এটি নিখোঁজের ঘটনা নয়, পরিকল্পিত হত্যা। এখন ফ্ল্যাটে ফরেনসিক বিভাগের কর্মকর্তারা কাজ করছেন।কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ইন্টেলিজেন্স ব্যুারো বা আইবি সূত্র থেকে সবশেষ তথ্য বলছে, হত্যাকারীদের সন্ধানে ৬টি টিম কাজ শুরু করেছে। খুব শিগগিরই দেহ উদ্ধারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করা হতে পারে।
আনার হত্যার রহস্য উন্মোচন করতে পশ্চিমবঙ্গ সিআইডি দায়িত্ব নিয়েছে। এরই মধ্যে বরাহনগর থানার মিসিং ডায়েরিকে এফআইআর হিসাবে ধরে তদন্ত শুরু করেছে রাজ্য পুলিশও। সঙ্গে রয়েছে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাক্সফোর্স বা এসটিএফ।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক,বুধবার ২২ মে এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।