সমুদ্র সৈকতে সাগরকন্যা হিসেবে পরিচিত কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিচ হাফ ম্যারাথন। শুক্রবার সূর্যোদয়ের পূর্বে সকাল ৬ টায় সৈকতের জিরো পয়েন্ট থেকে হাফ ম্যারাথন শুরু হয়ে সৈকতের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্ত অতিক্রম করে আবার জিরো পয়েন্টে এসে শেষ হয়ে। এতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত প্রায় ৩০০ অপেশাদার ও শৌখিন রানাররা ২১ কিলোমিটার হাফ ম্যারাথন ও ১০ কিলোমিটার পাওয়ার রান ম্যারাথন ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহন করেন। বরিশালের ঐতিহ্যবাহী অমৃত কনজুমার ফুড প্রোডাক্টস লিমিটেড’র পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলায় বিজ্ঞান চর্চা ও বিকাশের অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কসমিক কালচার ট্রাষ্ট এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ২০২০ সালে বরিশাল শহরে প্রথমবার ম্যারাথন আয়োজন করা হয়। দ্বিতীয় ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয় ২০২২ সালে। যার ব্যবস্থাপনা ও গুণগত বিচারে দেশের রানারদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছিল। বিগত দু’টি আয়োজনের ধারাবাহিকতায় বরিশাল ম্যারাথনের তৃতীয় আয়োজন
হচ্ছে কুয়াকাটায়। এ ম্যারাথন ইভেন্টের মাধ্যমে পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। তবে এবারের আয়োজনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সকলের অংশগ্রহণ, হ্রাস করবে প্লাস্টিক দূষণ’। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি ম্যারাথন দৌড়ের জন্য কুয়াকাটা সৈকত বেচে নেয়ায় খুশি অংশগ্রহণকারীরা। ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগীতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়।
১০ কিলোমিটার রানের প্রথম স্থান অধিকারকারী মো. মুহতাসিন আল কাফি বলেন,জীবনে ধ্যান জ্ঞানে সব সময় রেচটাকে প্রাধান্য দেই। এসএসসি পরীক্ষা চলমান তবুও শুক্রবার পরীক্ষা বন্ধ থাকায় আমি এ ম্যরাথনে অংশগ্রহণ করেছি। অপরদিকে প্রবীণ হাফ ম্যারাথনে পুরুষ প্রথম স্থান অধিকারী লুৎফর রহমান বলেন, পুরো জীবনের ফোকাস দিয়ে আসছি ম্যারাথনের উপর।
আয়োজক প্রতিষ্ঠান কসমিক কালচারের জনসংযোগ সমন্বয়ক জুলিয়েট রোজেটি বলেন, ম্যারাথন মানুষের শারিরিক, মানসিক এবং সামাজিক সৃজনশীলতা বিকাশে এবং পারস্পরিক ঐক্য-সম্প্রীতি-সহযোগিতা প্রকাশের একটি কার্যকর মাধ্যম। তাই কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এই ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হওয়ায় ইভেন্টে অংশগ্রহণকারী সকল রানার, স্থানীয় জনসাধারণ ও পর্যটকদের মাঝে
পরিবেশ দূষণ কমাতে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
বাংলায় বিজ্ঞান চর্চা ও বিকাশের অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কসমিক কালচার ট্রাষ্টের সভাপতি ড.অনিষ মন্ডল বলেন, খুব সুন্দরভাবে ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তবে স্থানীয় জনগণ ও পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধিই হচ্ছে এই কর্মসূচীর মূল লক্ষ্য। মানুষকে বিজ্ঞানমনস্ক ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কুয়াকাটা সৈকতে ম্যারাথন দৌড়ের আয়োজন করা হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত রানারের অংশগ্রহনের মধ্যে দিয়ে আয়োজনটি সম্পন্ন হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এমন আয়োজন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাকে আবারও বিশ্ব দরবারে পরিচিত করবে। এর ফলে কুয়াকাটার প্রতি দেশ-বিদেশের মানুষের আকর্ষণ বহুগুনে বাড়বে।
উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী,শুক্রবার ০১ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।