আদালতের প্রধান ফটকে পুলিশের সামনে দুই সাংবাদিককে মারধর করে তাদের একজনের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রবেশ পথে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন দৈনিক বরিশাল প্রতিদিন ও দৈনিক মুখপত্র পত্রিকার আলোকচিত্রি নুরুল আমিন রাসেল এবং মনিরুজ্জামান। তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত নুরুল আমিন রাসেল বলেন, মো. আব্বাস হাওলাদার নামে হত্যা মামলার এক প্রধান আসামিসহ পাঁচজন আদালত থেকে জামিন পান। তারা আদালত থেকে বের হওয়ার সময় বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে ১২/১৫ জন আব্বাস হাওলাদারকে অপহরণের চেষ্টা করে। সেই দৃশ্য ভিডিও ধারণ করে বের হওয়ার সময় সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। তারা মোটরসাইকেল ভাংচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
আহত মনিরুজ্জামান বলেন, ঘটনাস্থলের আশপাশে অন্তত ১০/১২ জন পুলিশ সদস্য ছিল। কিন্তু তারা কেউ এগিয়ে আসেনি। সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে ছাত্রদল নেতারা দুজনকে মারধর করে। পরে সবার সামনেই দুই ফটো সাংবাদিকের ক্যামেরা ভাংচুর করে চলে যায়। ঘটনার পরপরই অন্যান্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আশ্বাস দিলে সড়ক অবরোধ তুলে নেন সাংবাদিকরা।
বরিশাল ফটো সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলামিন সাগর বলেন, আশপাশের ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা গেছে, সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে হামলায় মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. আলমাস, সহ-সম্পাদক মাসুদ হাওলাদার মাসুম, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন ও রাজীব আহমেদ, সহ সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসাইন, নাইম, শাওন, জাহিদ ও জুয়েল। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ ৫ দফা দাবি জানানো হয়েছে বলে আলামিন সাগর জানিয়েছেন।
বরিশাল মহানগরের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মুহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন বলেন, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ আমরা পেয়েছি। ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়াও ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা কেন নিষ্ক্রিয় ছিল বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরিশাল,বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।