ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন; ভূমিসেবা হয়রানিমুক্ত করতে মন্ত্রণালয় বদ্ধপরিকর। সেবা প্রদানে কোনো রকম শৈথিল্য এর প্রমান পাওয়াগেলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। জনবান্ধব ভূমিসেবা নিশ্চিতে এবার নতুন সংযোজন ‘ভূমিসেবা সহায়তা নির্দেশিকা-২০২৫’। জনগণ যাতে করে ভূমিসেবা গ্রহণে কারো প্ররোচনায় না পরে সে লক্ষ্যে এই নির্দেশিকা প্রনয়নকরা হয়েছে,যা ভূমিসেবায় নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। সেবা প্রত্যাশীরা এর মাধ্যমে কোন সেবা কিভাবে নিতে হবে বা কার কাছে কোন সেবা বিদ্যমান তা যানতে পারবেন। দক্ষ, স্বচ্ছ এবং জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয় এবং এর অধিনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ডিজিটাল ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে ভূমি ব্যবস্থাপনার পুরোনো চিরাচরিত ও সময় সাপেক্ষ সেবাসমূহ। যেসব সেবা পেতে আগে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হতো গ্রাহকদের, এখন তা এসে ধরা দিয়েছে হাতের মুঠোয়। আদিকালের ভূমি ব্যবস্থপনাকে আধুনিক করতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার কথা হয়েছে।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ‘ভূমিসেবা সহায়তা নির্দেশিকা-২০২৫’ শীর্ষক লানিং সেশন উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নির্দেশিকার মূল লক্ষ্য সম্পর্কে সিনিয়র সচিব বলেন; ভূমি অফিসের বাইরে নাগরিকগণকে ভূমিসেবা গ্রহণে সহায়তা প্রদান ও ভূমিসেবা কে নাগরিকের হাতের কাছে নেওয়া। এছারা ডিজিটাল ভূমিসেবাকে টেকসই করা; ভূমিসেবা গ্রহণ সহজীকরণ এবং ভূমিসেবা গ্রহণে সহায়তা/সহযোগিতা প্রদান ও তথ্য সুরক্ষায় বিধিগত কাঠামো তৈরী। নাগরিকবান্ধব সেবা সহায়তাকারী তৈরি; সঠিকভাবে নাগরিকের প্রোফাইল তৈরি ও আবেদন ফরম পূরণ করে দাখিল নিশ্চিত করাসহ ভূমি অফিস সংশ্লিষ্ট অভিযোগ শূন্যে নামিয়ে আনাই অন্যতম মূল লক্ষ্য। সিনিয়র সচিব আরো বলেন; পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সরকারি সেবা গ্রহণে নাগরিক আবেদন প্রক্রিয়ায় “এজেন্সি সেবা” অত্যন্ত জনপ্রিয়। সার্বিক বিচেনায় উন্নত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে এবং নাগরিকগণের বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনে “ভূমিসেবা সহায়তা নির্দেশিকা, ২০২৫” প্রকাশ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার কেরানীগঞ্জে-৩টি,রমনা(ধানমন্ডি)কে ১ টি ও তেজগাঁও সার্কেলে ১টি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র পাইলটিংয়ের ভিত্তিতে চালু করা হয়েছে। এরপরে আরো আটটি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হচ্ছে।
পরবর্তীতে পাইলটিং কার্যক্রম সমাপ্ত হলে সারাদেশে নাগরিকদের সুবিধার জন্য এসকল ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হবে। এতে ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক মৌলিক ভূমিসেবা কার্যক্রম ডিজিটাইজেশনের ফলে নাগরিকরা যেন নতুন সেবা পদ্বতি অনুসরণ করে ভূমি সেবা গ্রহণ আরও সহজীকরণ হবে। এ কেন্দ্রগুলি কিভাবে পরিচালিত হবে এবং সেবার ফি ও সরকারি ফি কত হবে ইত্যাদি সকল বিষয় ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যেই ভূমিসেবা সহায়তা নির্দেশিকা,২০২৫ প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানান ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিববৃন্দ সহ উব্ধোর্তন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা,বুধবার,০৫ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।