থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ সেবা দেবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে এ ব্যবস্থা নেবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের সামনে এলেন ডিএমপি কমিশনার।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, থানার ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনো ঘটনা যেন লুকানো না হয়। যে ঘটনায় জিডি হওয়া দরকার জিডি হবে, যে ঘটনায় মামলা হওয়া দরকার মামলা হবে। এছাড়া আমি পদক্ষেপ নিচ্ছি, জিডি হলে এক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ অভিযোগকারীর কাছে যাবে। যদি মামলা হওয়ার মতো ঘটনা হয়, তাহলে অভিযোগকারীকে থানায় এনে মামলা নেওয়া হবে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে এই কাজটি আমি শুরু করবো।
শুধু কি ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ট্রাফিকের বিষয়টি সামনে নিয়ে আসার প্রধান কারণ হচ্ছে, আপনারা নিত্যদিন এই ট্রাফিক অব্যবস্থাপনার শিকার হচ্ছেন। উত্তরা থেকে একজন মানুষের মতিঝিলে পৌঁছাতে তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগে। একজন মানুষের অফিসে আসতে যেতে যদি ৬-৭ ঘণ্টা লাগে তাহলে তিনি কর্ম করবেন কখন? তিনি তো রাস্তাতেই আছেন। ট্রাফিক যদি ঠিক হয়ে যেতো, তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকা আমাদের জিডিপিতে যোগ হতো। এ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ঠিক করতে আমাদের কি পরিমাণ জনবল অপচয় হয় অকল্পনীয়। আপনাদের নিত্যদিনের এ ভোগান্তি কমানোর জন্য যত প্রচেষ্টা আমাদের। এমনকি বিদেশ থেকে আসা একজন মেহমানও কি ধারণা নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি কেন আমার এ দেশে বিনিয়োগ করবেন? আমরা শুধু বিনিয়োগ বিনিয়োগ করছি, বিনিয়োগের পরিবেশ তো সৃষ্টি করতে হবে। ট্রাফিক আমাদের শহরের আয়না। তাই এটা আমাদের ফোকাল পয়েন্ট।
সামনে বিজয় দিবস ঘিরে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিজয় দিবসের আগে ১৪ ডিসেম্বর আছে এবং পরে ৩১ ডিসেম্বর আছে। আমরা তিনটি দিবস নিয়েই কাজ করছি। ছোটখাটো হুমকি যদি থাকে এর জন্য তো আমাদের উৎসব থামিয়ে দেওয়া যাবে না। আমাদের দিবস উদযাপন হবে এবং আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।জুলাই-আগস্ট পরবর্তী সময় বিভিন্ন মামলায় নিরপরাধ মানুষকে আসামি করা হয়েছে এবং মামলা থেকে বাদ দিতে চাঁদা দাবি করা হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে যেসব মামলা হয়েছে, তার বেশিরভাগই হয়েছে আদালতে নির্দেশে। এসব মামলার আসামির সংখ্যা ছিল ২০০ এর বেশি। এখন দেখা যাচ্ছে, সবাই ঘটনায় জড়িত ছিল না। গুটি কয়েক লোক জড়িত ছিল। এখন বাস্তবে যেটা ঘটছে, মামলার বাদী সব আসামির কাছে গিয়ে গিয়ে টাকা চাইছে। এ আসামিদের ভয়ের কোনো কারণ নেই, তাদের আমরা গ্রেপ্তার করবো না। তদন্তে যাদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলবে, আমরা শুধু তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। এই ২০০ আসামিকে গ্রেপ্তারের কোনো সুযোগ নেই।
ঢাকা,সোমবার ০৯ ডিসেম্বর এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।