বাংলাদেশে এসে পৌঁছালেন হামজা চৌধুরী। বাংলাদেশ সময় সাড়ে ১১টার দিকে হামজাকে বহনকারী বিমানটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
সিলেটের ছেলে হামজা চৌধুরী থাকেন ইংল্যান্ডে। খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবে। এর আগেও বহুবার নিজের দেশ বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। তবে এবার তার আসাটা ভিন্ন। এবার তিনি শুধু সিলেটের ছেলে হিসেবে নয়, এসেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সদস্য হিসেবে।
এর আগে সকাল থেকে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি গেটের সামনে সাংবাদিকদের ভিড়। সিলেটের বিভিন্ন ক্লাব, আলট্রাস সদস্য, সদ্যই বাফুফের সঙ্গে স্পন্সর চুক্তি করা ইউসিবি ব্যাংকের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ফুটবলপ্রেমীরা অপেক্ষায় ছিলেন দেশের সবচেয়ে বড় ফুটবল তারকার জন্য।
হামজা পরিবারসহ সিলেট এয়ারপোর্টে নামেন বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে। সেখানে বাফুফের কর্মকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। বিমানবন্দরের ভেতরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে হামজা ভিআইপি গেট দিয়ে বের হলেন তখন ঘড়ির কাঁটায় সময় দুপুর ১২টা ৩৪ মিনিট।
হামজাকে দেখার পরপরই ভক্তদের ‘ওয়েলকাম টু মাদারল্যান্ড হামজা, হামজা’ স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে এয়ারপোর্ট প্রাঙ্গণ। লাল-সবুজ ফ্লেয়ার স্মোক উড়িয়ে এই তারকা ফুটবলারকে বরণ করে নেয় সমর্থকরা। তাদের সঙ্গে একঝলক দেখা করে আবারও বেবি টার্মিনালের ভেতর ঢোকেন হামজা। ভিড় ঠেলে পরিবার নিয়ে বের হওয়ার অবস্থা ছিল না এয়ারপোর্টের বাইরে।
এর আগে বাংলাদেশ সময় রাত দু’টায় বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার থেকে সিলেটর উদ্দেশ্যে রওনা হন হামজা। এ সফরে তার সঙ্গী মা, স্ত্রী ও সন্তানেরা।
সিলেট বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হবিগঞ্জের বাহুবল থানার স্নানঘাট গ্রামে চলে যাবেন হামজা। সেখানে আজ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি। শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই মিডফিল্ডারের আগমনে হবিগঞ্জে উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেই লাল-সবুজের জার্সিতে হামজাকে প্রথমবার দেখার অপেক্ষায় ক্রীড়াপ্রেমীরা।
ক্রীড়া ডেস্ক,,সোমবার,১৭ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।