আজ পহেলা ফাল্গুন। ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিন প্রকৃতিতে এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। বসন্তের আগমনে কোকিল গাইবে গান, ভ্রমর করবে খেলা। গাছে গাছে থাকবে পলাশ আর শিমুলের মেলা। প্রকৃতি সাজবে নতুনরূপে। জেগে উঠবে কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, পলাশ, নাগলিঙ্গম। বাহারি ফুল আর বাসন্তি রঙে সেজেছে পুরো নগর। মানুষের মনেও লেগেছে বসন্তের ছোঁয়া। পাতা ঝড়ার দিন পেরিয়ে প্রকৃতি আবার সাজছে প্রাণের সঞ্চারে।শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ১ ফাল্গুন ১৪৩১ দিনপঞ্জিতে পয়লা ফাল্গুন। ধরায় ফাগুন এসেছে গোলাপ-জবা-পারুল-পারিজাতের বুকের পরে। গাছের শাখা-প্রশাখায় পুরনো পাতার ভিড়কে পাশ কাটিয়ে দূর থেকে চেয়ে থাকার মতো তরুণীটি আজ বাসন্তী শাড়িতে বেরুবে জমাট খোঁপায় হলুদ গাঁদার ফুল গুঁজে। তার হাত ভর্তি কাচের চুড়ির রিনিঝিনি শব্দ ঠিক যেন বুকে বাজে। তাকে হাত ধরে রাস্তা পার করা ছেলেটির পরনে থাকবে লাল। হাতে ফুল নিয়ে দু’জনের স্মিত হাসি দিগন্ত পেরুবে! তাতে ব্যাকুলতা জাগবে কোকিলের কুহুতানে।‘এসো এসো বসন্ত, ধরাতলে—আনো মুহু মুহু নব তান, আনো নব প্রাণ, নব গান, আনো গন্ধমদভরে অলস সমীরণ, আনো বিশ্বের অন্তরে অন্তরে, নিবিড় চেতনা’। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্তের কাছে চেয়েছেন অনেক কিছু। নব প্রাণ, উচ্ছ্বাস আর নব চেতনা বসন্ত ছাড়া কোথায় পাওয়া যাবে। বাংলার প্রকৃতিতে বসন্তের রাজকীয় আবির্ভাব প্রকৃতির পাশাপাশি মানুষের মনকেও আন্দোলিত করে গভীর আবেশে। সে জন্যই বুঝি বসন্তই ঋতুরাজ।
প্রকৃতির নিয়মে ‘দখিন সমীরণের শিহরণ’ জাগাতে আসলো ঋতুরাজ বসন্ত। পলাশ-শিমুল সেজেছে শাখে শাখে ডালে ডালে। সেই সাজ আন্দোলিত করে মানুষের মনকেও।
শীতের রুক্ষ কঠিন বিদায়ে প্রকৃতি সাজে ঋতুরাজ বসন্তের ঢঙে। ফুলের বাগানেও শুরু হয়েছে রঙের খেলা। বসন্তকে বরণ করে নিতে রমনীরা সাজেন ফুলে ফুলে। করোনার দুঃসময় কাটিয়ে আবারও জমবে মেলা সেই প্রত্যাশা তরুণ প্রাণে।বর্ণিল বসন্ত মানুষের মাঝে আনুক ভালোবাসা, অহিংসা আর অসাম্প্রদায়িকতা। ভেঙে দিক বিভেদের সকল দেয়াল। কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের ভাষায়, ‘ফুল ফুটুক আর না ফুটুক, আজ বসন্ত’।
ঢাকা,শুক্রবার,১৪ ফেব্রুয়ারি,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।