উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে মেতেছে পর্যটকরা

Spread the love

আকাশে মেঘ থাকলেও প্রচন্ড রোদ রয়েছে, এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। বাতাসের চাপও নেই তেমন। পূর্ণিমার জো’য়ের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগার বেশ উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে নির্দিষ্ট স্থান অতিক্রম করায় দুর্ভোগে পড়েছে সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্র গোসলে নামতে নিষেধ থাকলেও তা মানছেনা আগত পর্যটকরা। ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন তারা। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার মাইকিং করতেও দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, তিন দিন ধরে সমুদ্রের ঢেউয়ে তান্ডবে সৈকত সুরক্ষা জিও ব্যাগ ও জিও টিউবের ক্ষতি হয়েছে। জিরো পয়েন্টের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল জোয়ারে তেড়ে আসা উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে দিনভর মিতালি করেছেন পর্যটকরা। শিশু কিশোর যুবকরা মেতেছেন আনন্দ উল্লাসে। সকাল থেকে বেলা যত বাড়ছে তত বাড়ছে পর্যটকের ভিড়। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকত যেন পর্যটকে মুখরিত হয়ে ওঠে। একই সাথে এসব পর্যটক সৈকতের বালিয়াড়িতে হৈ-হুল্লোড় করছে। কেউ কেউ সমুদ্র দর্শনের পাশাপাশি রাখাইন পল্লী, রাখাইন মার্কেট, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ মন্দির, ঝাউবাগান, গঙ্গামতির লেক, লাল কাকড়ার চর, লেম্বুর বন, আন্ধার মানিক নদী মোহনা, ফাতরার বন সহ দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে বাড়তি পর্যটকদের আগমনে খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যাসায়িরা।
সৈকতের ছাতা বেঞ্চ ব্যবসায়ী নুর হোসেন বলেন, সাগরের পানি অনেক বেড়েছে।
যার কারণে জোয়ারের সময় ছাতা বেঞ্চ সরানো হয়েছে। এ সময় ডাব,আইসক্রিম ও আচার বিক্রেতাসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিক্রি বন্ধ রাখতে হয়।
পর্যটক আরিফ হাসান বলেন, সমুদ্রের সৌন্দর্য তখনই ভালো লাগে, যখন বড় বড় ঢেউ কিনারায় আছড়ে পড়ে। কিন্তু ঢেউ দেখে লোভ সামলাতে না পেরে গোসল করতে নেমেছি। বেশ আনন্দে মেতে ছিলাম।
পর্যটক মাহামুদ বলেন, ছুটি থাকায় কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি। তবে যে ঢেউ আশা করিনি, তার চেয়ে ও বড় বড় ঢেউ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকের আগমন বেশি হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন বলেন, পূর্ণিমার জো’য়ের প্রভাবে সমুদ্র কিছুটা উত্তাল রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ টিম টহলে রয়েছে। এছাড়া মাইকিং করে পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে।
এদিকে পূর্নিমার জো’য়ের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ সহ সকল নদ-নদীর পানি। তাই গত তিনদিন ধরে দু’দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নিন্মাঞ্চল। বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছে বেড়িবাঁধের বাইরের বসবাসকারীরা এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়া।
উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী,শনিবার ১৯ অক্টোবর এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ



» আত্ম-সচেতনতাই পারে বিদেশ ফেরত অভিবাসীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে: শিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার

» দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম ভ‌রি এবার ১ লাখ ৪২ হাজার

» রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ বিক্ষোভকারীরা

» রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ মোট পাঁচ দফা নতুন দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

» ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিয়ে চলতি সপ্তাহের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করার আল্টিমেটাম

» আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» রাজধানীর বাড্ডায় বাসচাপায় নিহত তাসনিম জাহানের পরিবারকে ছয় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বিআরটিএ

» সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

» শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে প্রশিক্ষণরত আড়াই শতাধিক এসআইকে অব্যাহতি

» জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধ

(সম্পাদক)
কাজী আবু তাহের মোহাম্মদ নাছির
নির্বাহী সম্পাদক,
আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক-খন্দকার সোহাগ হাছান
সহ বার্তা সম্পাদক-কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক-কাজী আতিকুর রহমান আতিক

আজ : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ, ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে মেতেছে পর্যটকরা

Spread the love

আকাশে মেঘ থাকলেও প্রচন্ড রোদ রয়েছে, এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হয়নি। বাতাসের চাপও নেই তেমন। পূর্ণিমার জো’য়ের প্রভাবে কুয়াকাটা সংলগ্ন সাগার বেশ উত্তাল রয়েছে। বড় বড় ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ছে। স্বাভাবিক জোয়ারের পানির উচ্চতা বেড়ে নির্দিষ্ট স্থান অতিক্রম করায় দুর্ভোগে পড়েছে সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্র গোসলে নামতে নিষেধ থাকলেও তা মানছেনা আগত পর্যটকরা। ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছেন তারা। তবে ট্যুরিস্ট পুলিশের পক্ষ থেকে বার বার মাইকিং করতেও দেখা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, তিন দিন ধরে সমুদ্রের ঢেউয়ে তান্ডবে সৈকত সুরক্ষা জিও ব্যাগ ও জিও টিউবের ক্ষতি হয়েছে। জিরো পয়েন্টের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় প্রবল জোয়ারে তেড়ে আসা উত্তাল ঢেউয়ের সঙ্গে দিনভর মিতালি করেছেন পর্যটকরা। শিশু কিশোর যুবকরা মেতেছেন আনন্দ উল্লাসে। সকাল থেকে বেলা যত বাড়ছে তত বাড়ছে পর্যটকের ভিড়। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকত যেন পর্যটকে মুখরিত হয়ে ওঠে। একই সাথে এসব পর্যটক সৈকতের বালিয়াড়িতে হৈ-হুল্লোড় করছে। কেউ কেউ সমুদ্র দর্শনের পাশাপাশি রাখাইন পল্লী, রাখাইন মার্কেট, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, মিশ্রিপাড়া সীমা বৌদ্ধ মন্দির, ঝাউবাগান, গঙ্গামতির লেক, লাল কাকড়ার চর, লেম্বুর বন, আন্ধার মানিক নদী মোহনা, ফাতরার বন সহ দর্শনীয় স্পটগুলো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে বাড়তি পর্যটকদের আগমনে খুশি পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যাসায়িরা।
সৈকতের ছাতা বেঞ্চ ব্যবসায়ী নুর হোসেন বলেন, সাগরের পানি অনেক বেড়েছে।
যার কারণে জোয়ারের সময় ছাতা বেঞ্চ সরানো হয়েছে। এ সময় ডাব,আইসক্রিম ও আচার বিক্রেতাসহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বিক্রি বন্ধ রাখতে হয়।
পর্যটক আরিফ হাসান বলেন, সমুদ্রের সৌন্দর্য তখনই ভালো লাগে, যখন বড় বড় ঢেউ কিনারায় আছড়ে পড়ে। কিন্তু ঢেউ দেখে লোভ সামলাতে না পেরে গোসল করতে নেমেছি। বেশ আনন্দে মেতে ছিলাম।
পর্যটক মাহামুদ বলেন, ছুটি থাকায় কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি। তবে যে ঢেউ আশা করিনি, তার চেয়ে ও বড় বড় ঢেউ দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি।
কুয়াকাটা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন কুটুম’র সাধারণ সম্পাদক হোসাইন আমির বলেন, সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে কুয়াকাটায় পর্যটকের আগমন বেশি হয়।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিন বলেন, পূর্ণিমার জো’য়ের প্রভাবে সমুদ্র কিছুটা উত্তাল রয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ টিম টহলে রয়েছে। এছাড়া মাইকিং করে পর্যটকদের সচেতন করা হচ্ছে।
এদিকে পূর্নিমার জো’য়ের প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে আন্ধারমানিক, রাবনাবাদ সহ সকল নদ-নদীর পানি। তাই গত তিনদিন ধরে দু’দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে নিন্মাঞ্চল। বাসা বাড়িতে পানি প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছে বেড়িবাঁধের বাইরের বসবাসকারীরা এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয়া।
উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী,শনিবার ১৯ অক্টোবর এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ সংবাদ



সর্বাধিক পঠিত



About Us | Privacy Policy | Terms & Conditions | Contact Us

(সম্পাদক)
কাজী আবু তাহের মোহাম্মদ নাছির
নির্বাহী সম্পাদক,
আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক-খন্দকার সোহাগ হাছান
সহ বার্তা সম্পাদক-কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক-কাজী আতিকুর রহমান আতিক

প্রধান কার্যালয়: গ-১০৩/২ মধ্যবাড্ডা প্রগতি স্বরণী বাড্ডা ঢাকা-১২১২|

Phone: +8801714043198, Email: hbnews24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © HBnews24.com

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.

Powered By
Best Wordpress Adblock Detecting Plugin | CHP Adblock