সরকার গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যপক পরিকল্পনা বাস্তাবায়ন করলেও জামালপুরে হিমাগারের অভাবে প্রতি মৌসুমে কোটি টাকার ফল নষ্ট হয়। সরকারি ভাবে হিমাগারের উদ্যোগ নিলে কৃষকরা লাভবান হবে পাশাপাশি গ্রামীন অর্থনীতি গতিশীলতা ফিরে আসবে।
জানাযায় জামালপুর সদর উপজেলা ফল সমৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার সর্বত্র আম, কাঠালের খ্যাতি রয়েছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে দেখা ও জানা গেছে প্রায় দেড় থেকে দুশ কাঠাল বাগান রয়েছে। প্রতিটি কাঠাল গাছে অসংখ্য কাঠাল ঝুলছে। কথা হয় ফজলু(৩৫) সাদেক (৪০) এর সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, প্রতি মৌসুমে হিমাগারের অভাবে অসংখ্য কাঠাল পঁচে যায়। তারা আরো বলেন, প্রায় কোটি টাকার কাঠাল পঁচে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয় এ অঞ্চলের কৃষকরা।
এ দিকে মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় এবার মৌসুমে কাঠালের বাম্পার ফলন হয়েছে। এবার মৌসুমে যে পরিমান ফলন হয়েছে বিগত কোন মৌসুমে হয়নি। সরেজমিনে মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, ডাংধরা, পাররামপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন, এ সব এলাকার কাঠালের ব্যপক চাহিদা। ব্যবসায়ীরা কাঠাল ট্রাক বোঝাই করে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে। তারা আরো বলেন, হিমাগারের অভাবে কাঠাল সংরক্ষন করা যাচ্ছে না। সরকারি ভাবে হিমাগার করার উদ্যোগ নিলে কাঠাল চাষীরা ব্যপক লাভবান হবে। এ ব্যপারে জেলা কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ মো: মোখলেছুর রহমান জিন্নাহ কে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে বলেন, গ্রামীন অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকার একের পর এক প্রকল্প হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। হিমাগার নির্মান করা হলে ফল সংরক্ষন করা সম্ভব হবে। এতে গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা হবে।
কাজী রফিকুল হাসান, মালগুদাম রোড, মুকন্দবাড়ী, জামালপুর প্রতিনিধি।
জামালপুর,বুধবার ১০ জুলাই এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।