সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের ওপর স্থিতাবস্থার (স্ট্যাটাসকো) ফলে আপাতত কোটা বাতিল করে দেওয়া পরিপত্র বহাল থাকবে। এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
বুধবার (১০ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত।
বুধবার (১০ জুলাই) এ বিষয়ে আপিল বিভাগের আদেশের পর একথা জানিয়েছেন দুই শিক্ষার্থীর আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।
তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায়ের ওপর স্থিতাবস্থা থাকছে। এর ফলে নিয়োগ পদ্ধতিতে আপাতত কোটা পদ্ধতি প্রয়োগ হবে না। ২০১৮ সালের পর যেভাবে নিয়োগ হয়ে আসছিল, সেই পদ্ধতিই বহাল থাকবে।
এর আগে রাষ্ট্র ও শিক্ষার্থীদের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ চার সপ্তাহের জন্য এই আদেশ দেন। আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে।
আজ সকাল ১০টার দিকে আবেদনটি শুনানির জন্য উপস্থাপিত হয়। তখন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য সাড়ে ১১টায় সময় দেওয়া হয়েছে। দুটি আবেদন একসঙ্গে শুনানি হোক। এ জন্য সময় চান। তবে আদালত সময় নামঞ্জুর করে আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের আবেদন শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, শিক্ষার্থীদের পক্ষে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক শুনানি করেন। আর রিট আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী শুনানি করেন।
ঢাকা,বুধবার ১০ জুলাই এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।