পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার সৈকতে এবার দেখা মিলছে বিরল প্রজাতির একটি সাপের। এটির পেটের অংশ রং হলুদ ও দেহের উপরিভাগ কালো। এছাড়া কালো দেহে অদ্ভুত হলুদের ছোঁয়া থাকায় সাপটি দেখতে খুবই সুন্দর। এর নাম ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক। বৃহস্পতিবার বিকালের দিকে ঝাউবন সংলগ্ন সৈকতের পূর্ব থেকে এ সাপটি উদ্ধার করেছে এনিমেল লাভার্স অব টিমের সদস্যরা।
পরিবেশবাদী ও স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ সংস্থা এনিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালীর কলাপাড়া টিমের সদস্য কেএম বাচ্চু বলেন, সাপটি দেখতে সুন্দর, তাই অনেক পর্যটক সৈকতে ভিড় করে দেখছেন। ট্যুর গাইড সদস্যদের মাধ্যমে খবর পেয়ে জীবিত অবস্থায় সাপটিকে উদ্ধার করা হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওইদিন সন্ধ্যার দিকে বনবিভাগের সহায়তায় সাপটিকে সমুদ্রে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর আগে এ ধরেনে আরও একটি সাপ সমুদ্র থেকে কুয়াকাটা সৈকতে এসেছিল বলে তিনি জানান।
ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশন অব কুয়াকাটা টোয়াক’র সভাপতি রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, এই সাপগুলোর বসবাস বা বেড়ে ওঠা সমুদ্রে। গত দু’বছর ধরে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে এই সাপের দেখা মিলছে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড ফিস ইকোফিস ২ এর সহযোগী গবেষক সাগরিকা স্মৃতি বলেন, গোটা বিশ্বের স্থল ও সমুদ্র ভাগের সকল সাপের মধ্যে এটা চতুর্থতম তীব্র বিষধর। এর নাম ‘ইয়েলো-বেলিড সি স্নেক’। এ সাপ সচরাচর দেখা যায় না। গত বছরের জুন মাসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও কুয়াকাটা সৈকতে এই সাপ দেখা গেছে।
মহিপুর বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সাপটি সমুদ্রে
অবমুক্তের জন্য বলা হয়েছে।
উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী,শুক্রবার ২১ জুন এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।