দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার ৯নং হামিদপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি এলাকার বাঁশ পুকুর গ্রামে বিয়ের মাত্র দশ মাস অতিবাহিত না হতেই যৌতুকের দাবিতে শাশুড়ীর প্ররোচনায় পাষন্ড স্বামীর নির্মম নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর সংসারে ভাঙ্গনের সুর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির পরের দিন স্বামী কৌশলে তালাক প্রদান করেছে। অতঃপর থানায় মামলা হলে যৌতুক লোভী আটক পাষন্ড স্বামী আজিজুল হাকিম রাজুুর জামিন না মঞ্জুর করে আদালত কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পার্বতীপুর মডেল থানার মামলা নং ১৬ ও সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানদের শালিশি বৈঠক নামা সুত্রে জানা গেছে ১৮/০৮/২৩ইং তারিখে উপজেলার বাঁশ পুকুর গ্রামের মাহবুবুর রশিদ এর পুত্র আজিজুল হাকিম রাজুর সঙ্গে একই উপজেলার ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া খনিজ শিল্পাঞ্চল এলাকার গুড়গুড়ি গ্রামের সাইফুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া কন্যা আনিকা তাবাসসুম (১৯) এর সহিত চারলক্ষ টাকা দেন মোহর নির্দ্ধারন পূর্বক মুসলিম শরিয়া মোতাবেক ১০ নং ইউনিয়ন কাজীর মাধ্যমে বিবাহ রেজিষ্ট্রি হয় যার বিবাহ নং১৯২ বালাম নং ০৩ পাতা নং৩৬ সাল ২০২৩। বিবাহের কিছু দিন অতিবাহিত
হওয়ার পর হতে পাষন্ড স্বামী শাশুড়ী পরধন লোভী শশুর ও বাড়ির অন্যান্য সদস্য গন মোটা অংকের যৌতুকের জন্য নব বঁধু আনিকা তাবাসসুম কে অমানবিক শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিগত ১৯/০৩/২০২৪ সকাল ১০ ঘটিকায় শাশুড়ীর প্ররোচনায় পাষন্ড স্বামী নববধূ তাবাসসুম কে বাবার বাড়ি থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা যৌতুক আনার জন্য চাপসৃষ্টি করে। দাবি কৃত যৌতুকের টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করলে যৌতুক লোভী শশুরালয়ের সংঘবদ্ধ রা নির্মমভাবে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় ১৯/৩/২৪ পার্বতীপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল হলে গত ৪/৪/২৪ উভয় পক্ষকে নিয়ে ৯ নং হামিদপুর চেয়ারম্যান এবং ১০ নং হরিরামপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোজাহিদুল ইসলাম সোহাগ শালিশি বৈঠকের আয়োজন করেন। শালিশি বৈঠকে আজিজুল হাকিম ও তার পিতা মাতা তাদের ভুল বুঝতে পেরে সকলের নিকট ক্ষমা চেয়ে আর কখনো নির্যাতন করিবেনা এবং দাম্পত্য জীবন অটুট রাখার সার্থে আন্নিকা তাবাসসুম কে তাদের নিজ গৃহে নিয়ে যায়। গত ০৮/০৬/২৪ তারিখে আবারো একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে নির্যাতনের শিকার হয়ে গুরুতর আহত ও অসুস্থ অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হলদিবাড়ি পার্বতীপুরে ভর্তি হয়। পরের দিন ০৯/০৬০২৪ ধুরন্ধর স্বামী বিষয় টি ভিন্ন দিকে প্রবাহের কৌশল হিসাবে স্ত্রী কে তালাক নামা প্রদান করেন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল থেকে ফিরে ১২/৬/২৪ স্বামী শাশুড়ী শশুর সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে পার্বতীপুর মডেল থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধনী /০৩ এ মামলা রেকর্ড হয়। গত ১২ জুন/২৪ থানা পুলিশ আজিজুল হাকিম কে
আটক করে পরের দিন আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন । এদিকে প্রতারনার শিকার গৃহবধূর বাবা সাইফুল ইসলাম জানান বিবাহ রেজিস্ট্রি কালিন সময়ে ডাচ বাংলা ব্যাংকের চার লক্ষ টাকার একটি চেক যার হিসাব নং ৭০১৭৩৩৩৯৯২৫৮২ হিসাব ধারি মাহাবুব রশিদ পুত্র বধু আন্নিকা অনুকূলে প্রদেয় হয়।
অথচ ডাচ বাংলা ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় চেক সহ যোগাযোগ করা হলে জানা গেছে ওই চেকের টাকা আন্নিকার উত্তোলনের কোন সুযোগ নেই এ ধরনের চেক প্রদান জাস্ট প্রতারনা মুলক শান্তনা মাত্র। আমি চেক প্রতারনার প্রতিকার চেয়ে ব্যবস্থা নিব। উপজেলা আওয়ামী লীগ কমিটির অন্যতম সদস্য খলিলুর রহমান বলেন যৌতুক লোভী মা ও ছেলের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত বলে জানান।
মোঃ আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি
দিনাজপুর,বৃহস্পতিবার ২০ জুন এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।