কৃষক স্বনির্ভর প্রকল্পে সরকার নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় জামালপুর জেলার ৭টি উপজেলায় নিরাপদ বিষমুক্ত ঝিঙ্গেঁ চাষ ব্যপক ভাবে বেড়েছে। এ প্রকল্পে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে ব্যপক সহায়তা করায় কৃষকের বাড়ীর আঙ্গিঁনা থেকে ফসলি জমিতে ঝিঙ্গেঁর সমারোহ ঘটেছে।
জানা যায়,জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। এ উপজেলার চরাঞ্চল গুলোতে ব্যপক ঝিঙ্গেঁ চাষ হয়েছে পাশাপাশি ফলনও হয়েছে বাম্পার। সরেজমিনে, লক্ষিরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চর যথার্থপুর, চর গজারিয়া ও সাহেবেরচর ঘুরে বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা হয় তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন,নিরাপদ বিষমুক্ত ঝিঙ্গেঁ চাষে কৃষি বিভাগ ব্যপক সহায়তা করেছেন। মাঠ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও পোকা মাকুড় দমনে ফাঁদ পদ্ধতি শিখিয়ে দেয়ায় নিরাপদ বিষমুক্ত ঝিঙ্গেঁ চাষ করে কৃষকরা ব্যপক লাভবান হয়েছে। লক্ষীরচরের কৃষক ফারুক(৪০) আসাদ মিয়া(৪৮) জানান এবার ঝিঙ্গেঁ চাষ ব্যপকভাবে বেড়েছে। ফলন হয়েছে বাম্পার। কৃষি বিভাগের সহযোগিতার কারনে ঝিঙ্গেঁ অর্থকরী ফসলে পরিনত হয়েছে।
সরকারের ফসল প্রকল্প কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় বাস্তবায়ন করেছে। এ উপজেলা গুলোর প্রায় সব চরাঞ্চলে নিরাপদ বিষমুক্ত ঝিঙ্গেঁ চাষ হয়েছে। সরেজমিনে ডাংধরা পাররামপুর, হাতিবান্দা, বগারচর, মেরুরচর, নাংলা, মেষ্টা, বালিজুড়ি সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে কথা দেখা গেছে,এমন কোন বাড়ি নেই ঝিঙ্গেঁ গাছ ছাড়া। বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে ঝিঙ্গেঁ গাছের বাগান। গাছে ঝুলছে ঝিঙ্গেঁ আর ঝিঙ্গেঁ। ঝিঙ্গের বাম্পার ফলন সম্পর্কে কৃষক সাদেক আলী(৫০) জানান,
আওয়ামীলীগ কৃষক বান্ধব সরকার। কৃষকদের স্বনির্ভরতা করার লক্ষ্যে নিরাপদ বিষমুক্ত সবজি চাষ প্রকল্প গ্রহন করেছে। কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে সহায়তা করায় ঝিঙ্গের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ঝিঙ্গে নিরাপদ বিষম্ধুসঢ়;ক্ত হওয়ায় বাজারে ব্যপক চাহিদা। বাজারে নেয়া মাত্র শেষ হয়ে যায়। ঝিঙ্গেঁর বেশি দাম পাওয়ায় অধিকাংশ কৃষকের মধ্যে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।
কাজী রফিকুল হাসান, মালগুদাম রোড, মুকন্দবাড়ী, জামালপুর প্রতিনিধি।
জামালপুর,সোমবার ০৬ মে এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।