কুয়াকাটার সৈকতে ভেসে আসা মৃত জেলিফিসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে জৈবসার, গবাদি পশু এবং পাখির খাদ্য তৈরির সম্ভাবনা নিয়ে গবেষনা সংক্রান্ত তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত ২৭/০৩/২৪ তারিখ ০৫.১০.৭৮৬৬.১০২.১১.০১৩.২৪.৪২৬ নং স্মারকের একটি চিঠিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম এ কমিটি গঠনের অনুরোধ করেন।
কমিটির সদস্যরা হলো, উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষনা
ইনষ্টিটিউট, নদী উপকেন্দ্র, খেপুপাড়া, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা।
সম্প্রিতী, পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটা সৈকত ও তার আশে পাশের এলাকায় সমুদ্র থেকে বিপুল পরিমান মৃত জেলিফিশ ভেসে আসে। জেলিফিস গুলো পচেঁ দূগন্ধ
ছড়ানোর পাশাপাশি সাগরের পানিতে চুলকানির প্রকোপ বেড়ে যায়। এতে জনমনে বিরুপ ধারনার সৃষ্টি এবং নানাবিধ সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। অধিক
পরিমানে জেলিফিস আটকে থাকায় তা অপসারন করাও যাচ্ছে না।
জানা যায়, জেলিফিসের দেহ জেলাটিন নামক এক প্রকার প্রোটিন উপাদানে সমৃদ্ধ। যাতে কোলাজেন নামক প্রোটিনের উপস্থিতি রয়েছে। কোলাজেন প্রোটিন মাটিতে মিশে মাটির উর্বরতা বাড়ায়। মৃত এ জেলিফিস নিয়ে গবেষনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার জৈব সার, গবাদি পশু এবং পাখির খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা গেলে জেলিফিস সম্পদে রুপান্তর করা সম্ভব হবে। এ বিষয়ে যথাযথ কারিগরি গবেষনার মাধ্যমে প্রতিবেদন তৈরি করে ১৮ এপ্রিল ২০২৪ এর মধ্যে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছেন।
উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী,বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।