হারিয়ে গেছে জামালপুরের ঐতিহ্য কাসা শিল্প

Spread the love

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে জামালপুরের খ্যাতি ছিলো। কাসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আজ কাসা শিল্প হারিয়ে গেছে। যে কয়েক জন ব্যক্তি এ শিল্প টিকিয়ে রেখেছে তারাও এ পেশা ধরে রাখতে পারছে না। ফলে কাসা শিল্প বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা ও জেলা শহরে সকাল বাজার এলাকায় কাসা শিল্প ছিলো। আজ থেকে দেড়শ বছর আগে অত্র এলাকার হিন্দু কর্মকার বসতি থাকায় কাসা শিল্প গড়ে উঠে ছিলো। সে সময় বিদেশী বণিকরা এসে তমালতলা এলাকায় রানীগঞ্জ বাজারে কাসার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা বেচা করতো। সকাল বাজার এলাকাটি কাসারু পট্রি নামে এখনও পরিচিত। বর্তমানে ২/১টি কাসার দোকান রয়েছে। বাকীরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান কালে জানা গেছে কাসার সামগ্রী তৈরি করতে যে কাঁচামাল প্রয়োজন তার দাম বেশি থাকায় তা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ শিল্প হুমকীর মুখে পড়েছে।
এ দিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। এর মধ্যে ইসলাপুর ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। ইসলামপুর উপজেলার কাসা শিল্প ভারতীয় উপমহাদেশ বিখ্যাত। ইসলামপুরের কাঁসা সামগ্রী ভারতীয় বাজারে ব্যপক চাহিদা ছিলো। সরেজমিনে এ উপজেলার কাসারু পট্রি ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা ১০/১২জন কাসা শিল্পী রয়েছে। তারা কোন রকমে বাপ দাদার পেশা ধরে রেখেছে। তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,এ শিল্প কোন ভাবেই ধরে রাখা যাচ্ছে না। চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের ব্যপক দাম। যার জন্যে কাঁসা সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কাসা শিল্প।

কাজী রফিকুল হাসান, মালগুদাম রোড, মুকন্দবাড়ী, জামালপুর প্রতিনিধি।
জামালপুর,বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ



» দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম ভ‌রি এবার ১ লাখ ৪২ হাজার

» রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে বঙ্গভবনের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা সাউন্ড গ্রেনেডে ছত্রভঙ্গ বিক্ষোভকারীরা

» রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধসহ মোট পাঁচ দফা নতুন দাবি ঘোষণা করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

» ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা দিয়ে চলতি সপ্তাহের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে নিষিদ্ধ করার আল্টিমেটাম

» আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

» রাজধানীর বাড্ডায় বাসচাপায় নিহত তাসনিম জাহানের পরিবারকে ছয় লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে বিআরটিএ

» সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

» শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে প্রশিক্ষণরত আড়াই শতাধিক এসআইকে অব্যাহতি

» জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধ

» সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যু ‘মীমাংসিত’, বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

(সম্পাদক)
কাজী আবু তাহের মোহাম্মদ নাছির
নির্বাহী সম্পাদক,
আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক-খন্দকার সোহাগ হাছান
সহ বার্তা সম্পাদক-কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক-কাজী আতিকুর রহমান আতিক

আজ : মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ, ৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হারিয়ে গেছে জামালপুরের ঐতিহ্য কাসা শিল্প

Spread the love

ইতিহাস ও ঐতিহ্যের দিক দিয়ে জামালপুরের খ্যাতি ছিলো। কাসা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। আজ কাসা শিল্প হারিয়ে গেছে। যে কয়েক জন ব্যক্তি এ শিল্প টিকিয়ে রেখেছে তারাও এ পেশা ধরে রাখতে পারছে না। ফলে কাসা শিল্প বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা ও জেলা শহরে সকাল বাজার এলাকায় কাসা শিল্প ছিলো। আজ থেকে দেড়শ বছর আগে অত্র এলাকার হিন্দু কর্মকার বসতি থাকায় কাসা শিল্প গড়ে উঠে ছিলো। সে সময় বিদেশী বণিকরা এসে তমালতলা এলাকায় রানীগঞ্জ বাজারে কাসার বিভিন্ন সামগ্রী কেনা বেচা করতো। সকাল বাজার এলাকাটি কাসারু পট্রি নামে এখনও পরিচিত। বর্তমানে ২/১টি কাসার দোকান রয়েছে। বাকীরা এ পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। অন্য পেশায় চলে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধান কালে জানা গেছে কাসার সামগ্রী তৈরি করতে যে কাঁচামাল প্রয়োজন তার দাম বেশি থাকায় তা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে এ শিল্প হুমকীর মুখে পড়েছে।
এ দিকে মেলান্দহ,মাদারগঞ্জ,ইসলামপুর,দেওয়ানগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। এর মধ্যে ইসলাপুর ও সরিষাবাড়ী কাঁসা শিল্পের বেশ কদর ছিলো। ইসলামপুর উপজেলার কাসা শিল্প ভারতীয় উপমহাদেশ বিখ্যাত। ইসলামপুরের কাঁসা সামগ্রী ভারতীয় বাজারে ব্যপক চাহিদা ছিলো। সরেজমিনে এ উপজেলার কাসারু পট্রি ঘুরে দেখা গেছে হাতে গোনা ১০/১২জন কাসা শিল্পী রয়েছে। তারা কোন রকমে বাপ দাদার পেশা ধরে রেখেছে। তাদের সাথে কথা বললে তারা বলেন,এ শিল্প কোন ভাবেই ধরে রাখা যাচ্ছে না। চাহিদা থাকলেও কাঁচামালের ব্যপক দাম। যার জন্যে কাঁসা সামগ্রী তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে কাসা শিল্প।

কাজী রফিকুল হাসান, মালগুদাম রোড, মুকন্দবাড়ী, জামালপুর প্রতিনিধি।
জামালপুর,বৃহস্পতিবার ১৪ মার্চ এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ সংবাদ



সর্বাধিক পঠিত



About Us | Privacy Policy | Terms & Conditions | Contact Us

(সম্পাদক)
কাজী আবু তাহের মোহাম্মদ নাছির
নির্বাহী সম্পাদক,
আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক-খন্দকার সোহাগ হাছান
সহ বার্তা সম্পাদক-কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক-কাজী আতিকুর রহমান আতিক

প্রধান কার্যালয়: গ-১০৩/২ মধ্যবাড্ডা প্রগতি স্বরণী বাড্ডা ঢাকা-১২১২|

Phone: +8801714043198, Email: hbnews24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © HBnews24.com

Ads Blocker Image Powered by Code Help Pro

Ads Blocker Detected!!!

We have detected that you are using extensions to block ads. Please support us by disabling these ads blocker.

Powered By
Best Wordpress Adblock Detecting Plugin | CHP Adblock