শিবপুর থানা এলাকায় নৃশংসভাবে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অন্যতম প্রধান ক্লুলেস আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩

বহুল আলোচিত নরসিংদী জেলার শিবপুর থানা এলাকায় সাইফুল ইসলাম (৫০)’কে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অন্যতম প্রধান ক্লুলেস আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি, চিহিৃত সন্ত্রাসী, মানবপাচারকারী, অপহরণকারী, জালনোট ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতার করে আসছে। বিভিন্ন ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‍্যাব সদা সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়াও যাবজ্জীবন, মৃত্যুদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী এবং চাঞ্চল্যকর হত্যার মামলার ক্লুলেস আসামীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৫/০২/২০২৪ তারিখ ১৮৩০ ঘটিকায় র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকশ আভিযানিক দল গাজীপুর জেলা টঙ্গী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বহুল আলোচিত নরসিংদী জেলার শিবপুর এলাকায় সাইফুল ইসলাম (৫০)’কে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অন্যতম প্রধান ক্লুলেস আসামী ১। মোঃ জুনায়েদ মিয়া (১৯), পিতা-জাকির হোসেন, সাং-নোয়াদিয়া কান্দাপাড়া, থানা-শিবপুর, জেলা-নরসিংদীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

নরসিংদী জেলার শিবপুর থানা এলাকায় ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ রাতে গরুর ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম (৫০)’কে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পরদিন ভিকটিম সাইফুল এর স্ত্রী বাদী হয়ে তাজুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তিকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সাইফুল এবং আসামী তাজুল নরসিংদী জেলার শিবপুর একই এলাকার বাসিন্দা। তারা দুজনে দীর্ঘদিন যাবৎ শেয়ারে গরুর ব্যবসা করে আসছিল। ব্যবসার জন্য ভিকটিম সাইফুল অপর দুই গরুর ব্যবসায়ী জনৈক হাসিম ও মোমেন এর নিকট হতে এক মাস পরে পরিশোধ করবে শর্তে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ধার করে এনে তাজুলকে দেয়। শর্ত মোতাবেক একমাস শেষে তাজুল এর নিকট ভিকটিম টাকা চাইলে সে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে এবং ঘোরাতে থাকে। হাসিম ও মোমেন তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করার কারনে ভিকটিম সাইফুলকে চাপ প্রয়োগ ও কটুক্তি করতে থাকে। ফলে ভিকটিম সাইফুল মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তীতে ভিকটিম সাইফুল এলাকার স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় একটি গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে তাজুলের সাথে টাকা পরিশোধের বিষয়টি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তি করে নেয়। এতে শর্ত থাকে ১৫ দিনের মধ্যে তাজুল সাইফুলকে সমুদয় টাকা পরিশোধ করে দিবে। চুক্তির স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর হওয়ার পর তাজুল ক্ষিপ্ত হয়ে শালিস থেকে উঠে যায় এবং সাইফুলকে দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদান করে চলে যায়। পরবর্তীতে গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ সাইফুল ত্রিশা বাজারে একটি চায়ের দোকানে থাকাকালীন একটি ফোন পেয়ে উঠে চলে যায়। তারপর থেকে ভিকটিম সাইফুল এর পরিবার তার ফোন বন্ধ পায় এবং পরিবারের পরিচিত সকল জায়গায় খোজাখুজি করতে থাকে। পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ সকালে নোয়াদিয়া কান্দাপাড়া পঞ্চগ্রাম ঈদগাঁ মাঠে ভিকটিম সাইফুলের গলা কাটা মাথা বিচ্ছিন্ন করা লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাটি মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর র‌্যাবের গোয়েন্দা দল হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার অন্যতম প্রধান আসামী জুনায়েদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম সাইফুল এর সাথে তাজুলের টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে মনোমালিন্যের কারণেই সাইফুলকে হত্যার করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাইফুলকে হত্যা করে হত্যার দায় হাসিম ও মোমেন এর উপর চাপিয়ে দিবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাজুল, জুনায়েদ, সোলাইমান, শাকিল ঈদগাঁ মাঠে অবস্থান করে। ভিকটিম সাইফুলকে ব্যবসার কথা বলে ফোন করে ঈদগাঁ মাঠে ডেকে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে সেখানে তাজুল ও সাইফুল কথা কাটাকাটি করতে শুরু করে এবং একপর্যায়ে তাজুল সাইফুলের গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে ধরে। সেই সাথে জোনায়েদ এবং শাকিল সাইফুলকে জাপটে ধরে। এতে করে সাইফুল অজ্ঞান হয়ে যায়। অজ্ঞানরত অবস্থায় ভিকটিম সাইফুলকে এই মামলার অন্যতম আসামি জুনায়েদের সহায়তায় তাজুল দা দিয়ে কুপিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং ঘটনা স্থল থেকে সবাই পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাজুল ইসলাম এর সাথে ঘটনায় সরাসরি জড়িত অন্যান্য আসামীদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাজুল এবং সোলাইমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়। তাজুলের স্বীকারোক্তি এবং সোলাইমান এর জবানবন্দীতে এই নৃশংস হত্যার অন্যতম সহযোগী জোনায়েদ এবং শাকিল এর নাম প্রকাশ পায়। ঘটনার পর থেকেই জোনায়েদ এবং শাকিল পলাতক থেকে যায়। র‍্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জুনায়েদকে গতকাল সন্ধ্যায় গাজীপুর টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার আরেক পলাতক আসামী শাকিলকে গ্রেফতারের জন্য র‍্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত জুনায়েদ এর বাবা-মা এলাকায় পিঠা বিক্রি করত। জুনায়েদ ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে বাবা মা এর সাথে পিঠা বিক্রির কাজে সহযোগিতা করত। পরবর্তীতে সে ২০১৯ সাল থেকে তার চাচাদের সাথে ছাগলের ব্যবসা শুরু করে। ছাগলের ব্যবসার সুবাদে আসামীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাইফুলকে হত্যার পর জুনায়েদ এলাকা ছেড়ে তার নানার বাড়ি ব্রাহ্মনবাড়িয়া এসে আত্মগোপনে থাকতে শুরু করে। সেখানে ০১ মাস থাকার পর গাজীপুর এসে একটি গার্মেন্টেসে চাকুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। গত ২৫/০২/২০২৪ তারিখ ১৮৩০ ঘটিকায় সে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা,সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ আপডেট



» মাধবদীতে অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কারনে হামলার শ্বীকার মেয়র মোশাররফ আগুনে পুড়ে ছাঁই পৌর ভাবন ও সোনালী টাওয়ার !

» বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত

» কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাব’র কমিটি গঠন সভাপতি মুক্তা, সম্পাদক রাসেল

» শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে দেশজুড়ে যে তাণ্ডব-হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তার দায় বিএনপি ও জামায়াতের

» নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৮১ জন কয়েদি আত্মসমর্পণ লুট করা ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার

» আন্দোলন চলাকালে বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় যারা নাশকতা চালিয়েছে তাদের ধরতে জনগণের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

» শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে কারফিউ শিথিল থাকবে।

» এইচএসসি ও সমমানের ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত

» মিরপুর ১০ নম্বর ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

» না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন মাইলস-এর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সুরকার ও গীতিকার শাফিন আহমেদ

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

 

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান

সহ বার্তা সম্পাদক: কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত নিউজপোর্টাল গভঃ রেজিঃ নং ১১৩

আজ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিবপুর থানা এলাকায় নৃশংসভাবে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অন্যতম প্রধান ক্লুলেস আসামী গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩




বহুল আলোচিত নরসিংদী জেলার শিবপুর থানা এলাকায় সাইফুল ইসলাম (৫০)’কে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অন্যতম প্রধান ক্লুলেস আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-৩।

র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জঙ্গি, চিহিৃত সন্ত্রাসী, মানবপাচারকারী, অপহরণকারী, জালনোট ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার আসামী গ্রেফতার করে আসছে। বিভিন্ন ক্লুলেস মামলার রহস্য উদঘাটন করে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য র‍্যাব সদা সচেষ্ট রয়েছে। এছাড়াও যাবজ্জীবন, মৃত্যুদন্ডসহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী এবং চাঞ্চল্যকর হত্যার মামলার ক্লুলেস আসামীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২৫/০২/২০২৪ তারিখ ১৮৩০ ঘটিকায় র‍্যাব-৩ এর একটি চৌকশ আভিযানিক দল গাজীপুর জেলা টঙ্গী থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে বহুল আলোচিত নরসিংদী জেলার শিবপুর এলাকায় সাইফুল ইসলাম (৫০)’কে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অন্যতম প্রধান ক্লুলেস আসামী ১। মোঃ জুনায়েদ মিয়া (১৯), পিতা-জাকির হোসেন, সাং-নোয়াদিয়া কান্দাপাড়া, থানা-শিবপুর, জেলা-নরসিংদীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

নরসিংদী জেলার শিবপুর থানা এলাকায় ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ রাতে গরুর ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম (৫০)’কে গলা কেটে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। হত্যার পরদিন ভিকটিম সাইফুল এর স্ত্রী বাদী হয়ে তাজুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তিকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম সাইফুল এবং আসামী তাজুল নরসিংদী জেলার শিবপুর একই এলাকার বাসিন্দা। তারা দুজনে দীর্ঘদিন যাবৎ শেয়ারে গরুর ব্যবসা করে আসছিল। ব্যবসার জন্য ভিকটিম সাইফুল অপর দুই গরুর ব্যবসায়ী জনৈক হাসিম ও মোমেন এর নিকট হতে এক মাস পরে পরিশোধ করবে শর্তে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ধার করে এনে তাজুলকে দেয়। শর্ত মোতাবেক একমাস শেষে তাজুল এর নিকট ভিকটিম টাকা চাইলে সে বিভিন্ন তালবাহানা শুরু করে এবং ঘোরাতে থাকে। হাসিম ও মোমেন তাদের পাওনা টাকা পরিশোধ না করার কারনে ভিকটিম সাইফুলকে চাপ প্রয়োগ ও কটুক্তি করতে থাকে। ফলে ভিকটিম সাইফুল মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। পরবর্তীতে ভিকটিম সাইফুল এলাকার স্থানীয় লোকজনদের সহযোগীতায় একটি গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে তাজুলের সাথে টাকা পরিশোধের বিষয়টি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তি করে নেয়। এতে শর্ত থাকে ১৫ দিনের মধ্যে তাজুল সাইফুলকে সমুদয় টাকা পরিশোধ করে দিবে। চুক্তির স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর হওয়ার পর তাজুল ক্ষিপ্ত হয়ে শালিস থেকে উঠে যায় এবং সাইফুলকে দেখে নিবে বলে হুমকি প্রদান করে চলে যায়। পরবর্তীতে গত ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ সাইফুল ত্রিশা বাজারে একটি চায়ের দোকানে থাকাকালীন একটি ফোন পেয়ে উঠে চলে যায়। তারপর থেকে ভিকটিম সাইফুল এর পরিবার তার ফোন বন্ধ পায় এবং পরিবারের পরিচিত সকল জায়গায় খোজাখুজি করতে থাকে। পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখ সকালে নোয়াদিয়া কান্দাপাড়া পঞ্চগ্রাম ঈদগাঁ মাঠে ভিকটিম সাইফুলের গলা কাটা মাথা বিচ্ছিন্ন করা লাশ পাওয়া যায়। ঘটনাটি মিডিয়াতে ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর র‌্যাবের গোয়েন্দা দল হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত পলাতক আসামীদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে এবং চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার অন্যতম প্রধান আসামী জুনায়েদকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ভিকটিম সাইফুল এর সাথে তাজুলের টাকা-পয়সা লেনদেন নিয়ে মনোমালিন্যের কারণেই সাইফুলকে হত্যার করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়। তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাইফুলকে হত্যা করে হত্যার দায় হাসিম ও মোমেন এর উপর চাপিয়ে দিবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তাজুল, জুনায়েদ, সোলাইমান, শাকিল ঈদগাঁ মাঠে অবস্থান করে। ভিকটিম সাইফুলকে ব্যবসার কথা বলে ফোন করে ঈদগাঁ মাঠে ডেকে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে সেখানে তাজুল ও সাইফুল কথা কাটাকাটি করতে শুরু করে এবং একপর্যায়ে তাজুল সাইফুলের গলায় থাকা গামছা পেঁচিয়ে ধরে। সেই সাথে জোনায়েদ এবং শাকিল সাইফুলকে জাপটে ধরে। এতে করে সাইফুল অজ্ঞান হয়ে যায়। অজ্ঞানরত অবস্থায় ভিকটিম সাইফুলকে এই মামলার অন্যতম আসামি জুনায়েদের সহায়তায় তাজুল দা দিয়ে কুপিয়ে মাথা বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং ঘটনা স্থল থেকে সবাই পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাজুল ইসলাম এর সাথে ঘটনায় সরাসরি জড়িত অন্যান্য আসামীদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তাজুল এবং সোলাইমান আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হয়। তাজুলের স্বীকারোক্তি এবং সোলাইমান এর জবানবন্দীতে এই নৃশংস হত্যার অন্যতম সহযোগী জোনায়েদ এবং শাকিল এর নাম প্রকাশ পায়। ঘটনার পর থেকেই জোনায়েদ এবং শাকিল পলাতক থেকে যায়। র‍্যাবের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জুনায়েদকে গতকাল সন্ধ্যায় গাজীপুর টঙ্গী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার আরেক পলাতক আসামী শাকিলকে গ্রেফতারের জন্য র‍্যাবের গোয়েন্দা কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

গ্রেফতারকৃত জুনায়েদ এর বাবা-মা এলাকায় পিঠা বিক্রি করত। জুনায়েদ ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করে বাবা মা এর সাথে পিঠা বিক্রির কাজে সহযোগিতা করত। পরবর্তীতে সে ২০১৯ সাল থেকে তার চাচাদের সাথে ছাগলের ব্যবসা শুরু করে। ছাগলের ব্যবসার সুবাদে আসামীদের সাথে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সাইফুলকে হত্যার পর জুনায়েদ এলাকা ছেড়ে তার নানার বাড়ি ব্রাহ্মনবাড়িয়া এসে আত্মগোপনে থাকতে শুরু করে। সেখানে ০১ মাস থাকার পর গাজীপুর এসে একটি গার্মেন্টেসে চাকুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে। গত ২৫/০২/২০২৪ তারিখ ১৮৩০ ঘটিকায় সে র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
ঢাকা,সোমবার ২৬ ফেব্রুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

 

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান

সহ বার্তা সম্পাদক: কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

প্রধান কার্যালয়: গ-১০৩/২ মধ্যবাড্ডা প্রগতি স্বরণী বাড্ডা ঢাকা-১২১২ | ব্রাঞ্চ অফিস: ২৪৭ পশ্চিম মনিপুর, ২য় তলা, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

Phone: +8801714043198, Email: hbnews24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © HBnews24.com