নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বিচ্ছেদ সইতে না পেরে স্ত্রী, সন্তান ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করেছেন এক যুবক। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার অর্জুনতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন অভিযুক্ত আমির হোসেন।আহতরা হলেন- একই এলাকার লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম (৫৮) তার মেয়ে বিবি ফাতেমা (৩৮) ও নাতনি রাবেয়া খাতুন (১৮)।ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আমির হোসেন পালিয়ে যান। তিনি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্যার ছেলে।ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, ২৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনাইমুড়ীর উপজেলার আমির হোসেনর সঙ্গে সেনবাগ উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের কয়েক বছর পর তাদের সংসারে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। পরে তিন বছর আগে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে ইদিলপুর গ্রামে নতুন বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন।
শুক্রবার ভোরে ফাতেমা ও তার মা নামাজ পড়তে উঠলে আমির হোসেন দুটি দা নিয়ে আকস্মিকভাবে তাদের ঘরে ঢুকে পড়েন। এরপর এলোপাতাড়ি সাবেক স্ত্রী ফাতেমা, শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান আমির।
পরে স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে ফাতেমাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সেনবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নোয়াখালী,শুক্রবার ১৬ ফেব্রুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।