পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদশের যুবারা

Spread the love

আইসিসি অনূর্ধ্ব–১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদশের যুবারা।৩৮.১ ওভারের মধ্যে জিতলে পেত সেমিফাইনালের টিকিট। ১৫৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে সেমিফাইনাল থেকে আর ৬ রান দূরে ছিল তারা। আক্ষেপের গল্প লিখে ৩৫.৫ ওভারে ১৫০ রানে অলআউট হয়েছে যুবারা। ৫ রানে জিতে সেমিতে উঠেছে পাকিস্তান।বেনোনির উইলোমোর পার্কের কঠিন উইকেটে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে ১৭ রান তুলে নেয় টাইগার যুবারা। তৃতীয় ওভারে বিদায় নেন মারমুখী ওপেনার জিশান আলম। ১২ বলে ১৯ রান করেন তিনি। ৪ রান করা আশিকুর রহমান শিবলি আউট হন দলীয় ৩৬ রানে। দুই ওপেনারকেই প্যাভিলিয়নে পাঠান উবাইদ শাহ।

স্কোর বোর্ডে আর ১১ রান যোগ হওয়ার পর বিদায় নেন মো. রিজওয়ান। ৩০ বলে ২০ রান করেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের পেস তোপের সামনে আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করেন। বাজে বল পেলেই মারতে ভুল করেননি তারা। উবাইদ শাহর বলে হারুন আরশাদের দারুণ এক ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় আহরার আমিনকে। ২৩ বলে করেন ১১ রান তিনি। আরিফুল ২০ বলে ১৪ রান করে আউট হন আলি রেজার ওভারে।
শেখ পারভেজ জীবন ২ রানে আউট হওয়ার পর শিহাব জেমস ও অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ইনিংসের হাল ধরেন। দুজনে গড়েন ৪৩ রানের জুটি। ২৬ রানে শিহাবের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। রাব্বি করেন ১৩ রান। তখনই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ইকবাল হোসেন ইমন আউট হন শূন্য রানে। এরপর রোহানাতদৌলা বর্ষণের ব্যাটে জয়ের কাছে চলে যায় যুবারা। কিন্তু অন্যপ্রান্তে মারুফ মৃধা বোল্ড হওয়ায় শেষ হয় বাংলাদেশের স্বপ্ন। বর্ষণ ২৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারুফ করেন ৪ রান।

এর আগে ব্যাট করে ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রানে গুঁড়িয়ে যায় পাকিস্তান। এদিন শুরুটা অবশ্য খারাপ ছিল না পাকিস্তানের। ওপেনিং জুটিতে ৮ ওভারের মধ্যে তারা তুলে নেয় ৩৪ রান। নবম ওভারে আক্রমণে এসে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান বর্ষণ। তার সুইং আর গতিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন শামিল হোসেন। ৩১ বলে ৩ চারের মারে ১৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বর্ষণ শুধু এদিন ব্রেকথ্রু-ই এনে দেননি, ভেঙে দেন পাকিস্তানের ইনিংসের খুঁটি। ৬ বলে ৬ রান করে তার বলে কট বিহাইন্ড হন ওয়ান ডাউনে নামা আজান আওয়াইস।

২১ বলে ৯ রান করে সাদ বাইগ রানআউট হলে দলীয় ৬৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। আক্রমণে এসে আরও চাপ তৈরি করেন পারভেজ জীবন। তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ৬৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন একপ্রান্ত আগলে রাখা পাক ওপেনার শাহজাইব খান। ভাঙা কোমর সোজা করার আগে বর্ষণের গোলায় বিদ্ধ হন আহমেদ হাসান। আর জীবনের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন হারুন আরশাদ। আহমেদ ১১ আর আরশাদ ৭ রান করে আউট হন। মাত্র ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে পড়ে পাকিস্তান।সপ্তম উইকেটে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন আরাফাত মিনহাজ ও আলী আসফান্দ। দুজন মিলে জুটি গড়ে দলকে পৌঁছে দেন ১৩২ রানে। অনেক চেষ্টার পর আসফান্দকে নিজের শিকারে পরিণত করেন জীবন। ২৯ বলে ১৯ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ক্রিজে নামা উবাইদ শাহ ৬ বলে ১ রান তুলতেই স্টাম্প তুলে নেন জীবন। বর্ষণ এসে ফেরান ১১ বলে ৪ রান করা মোহাম্মদ জিশানকে।

তবে তখনও একপ্রান্ত আগলে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রেখেছিলেন মিনহাজ। শেষ পর্যন্ত ৪১তম ওভারে তাকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন টাইগার অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
ক্রীড়া ডেস্ক,শনিবার ০৩ ফেব্রুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ সংবাদ



» ব্যাংক থেকে নগদ টাকা উত্তোলনের সীমা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

» বিতর্ক সৃষ্টি হয় এরূপ কোন কর্মে হাত দেওয়া হবে না-ধর্ম উপদেষ্টা

» চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের শিপ ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ ও আগুনে ৬ জন দগ্ধ

» চলমান পোলিও টিকা কর্মসূচির মধ্যে গাজা ভূখণ্ডে বিমান হামলা অন্তত ২৭ জন নিহত

» গণভবন পরিদর্শন করেছেন তিনজন উপদেষ্টা

» জামালপুরে আদা চাষে গ্রামীন মহিলারা স্বাবলম্বি

» ধীরে ধীরে কমছে বন্যার পানি তবে এখনও দুর্ভোগ কমেনি দুর্গতদের

» সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

» সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ছেলে শিরহান শরিফ তমালকে অস্ত্র-গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

» ভারতের সিকিমে সড়ক দুর্ঘটনায় চার সেনা সদস্য নিহত

(সম্পাদক)
কাজী আবু তাহের মোহাম্মদ নাছির
নির্বাহী সম্পাদক,
আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক-খন্দকার সোহাগ হাছান
সহ বার্তা সম্পাদক-কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক-কাজী আতিকুর রহমান আতিক

আজ : রবিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, খ্রিষ্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদশের যুবারা

Spread the love

আইসিসি অনূর্ধ্ব–১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদশের যুবারা।৩৮.১ ওভারের মধ্যে জিতলে পেত সেমিফাইনালের টিকিট। ১৫৬ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে সেমিফাইনাল থেকে আর ৬ রান দূরে ছিল তারা। আক্ষেপের গল্প লিখে ৩৫.৫ ওভারে ১৫০ রানে অলআউট হয়েছে যুবারা। ৫ রানে জিতে সেমিতে উঠেছে পাকিস্তান।বেনোনির উইলোমোর পার্কের কঠিন উইকেটে রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ওভারে ১৭ রান তুলে নেয় টাইগার যুবারা। তৃতীয় ওভারে বিদায় নেন মারমুখী ওপেনার জিশান আলম। ১২ বলে ১৯ রান করেন তিনি। ৪ রান করা আশিকুর রহমান শিবলি আউট হন দলীয় ৩৬ রানে। দুই ওপেনারকেই প্যাভিলিয়নে পাঠান উবাইদ শাহ।

স্কোর বোর্ডে আর ১১ রান যোগ হওয়ার পর বিদায় নেন মো. রিজওয়ান। ৩০ বলে ২০ রান করেন তিনি। এরপর পাকিস্তানের পেস তোপের সামনে আরিফুল ইসলাম ও আহরার আমিন স্থায়ী হওয়ার চেষ্টা করেন। বাজে বল পেলেই মারতে ভুল করেননি তারা। উবাইদ শাহর বলে হারুন আরশাদের দারুণ এক ক্যাচে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় আহরার আমিনকে। ২৩ বলে করেন ১১ রান তিনি। আরিফুল ২০ বলে ১৪ রান করে আউট হন আলি রেজার ওভারে।
শেখ পারভেজ জীবন ২ রানে আউট হওয়ার পর শিহাব জেমস ও অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি ইনিংসের হাল ধরেন। দুজনে গড়েন ৪৩ রানের জুটি। ২৬ রানে শিহাবের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। রাব্বি করেন ১৩ রান। তখনই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ইকবাল হোসেন ইমন আউট হন শূন্য রানে। এরপর রোহানাতদৌলা বর্ষণের ব্যাটে জয়ের কাছে চলে যায় যুবারা। কিন্তু অন্যপ্রান্তে মারুফ মৃধা বোল্ড হওয়ায় শেষ হয় বাংলাদেশের স্বপ্ন। বর্ষণ ২৪ বলে ২১ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারুফ করেন ৪ রান।

এর আগে ব্যাট করে ৪০.৪ ওভারে ১৫৫ রানে গুঁড়িয়ে যায় পাকিস্তান। এদিন শুরুটা অবশ্য খারাপ ছিল না পাকিস্তানের। ওপেনিং জুটিতে ৮ ওভারের মধ্যে তারা তুলে নেয় ৩৪ রান। নবম ওভারে আক্রমণে এসে বাংলাদেশকে লড়াইয়ে ফেরান বর্ষণ। তার সুইং আর গতিতে পরাস্ত হয়ে বোল্ড হন শামিল হোসেন। ৩১ বলে ৩ চারের মারে ১৯ রান আসে তার ব্যাট থেকে। বর্ষণ শুধু এদিন ব্রেকথ্রু-ই এনে দেননি, ভেঙে দেন পাকিস্তানের ইনিংসের খুঁটি। ৬ বলে ৬ রান করে তার বলে কট বিহাইন্ড হন ওয়ান ডাউনে নামা আজান আওয়াইস।

২১ বলে ৯ রান করে সাদ বাইগ রানআউট হলে দলীয় ৬৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। আক্রমণে এসে আরও চাপ তৈরি করেন পারভেজ জীবন। তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ৬৭ বলে ২৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন একপ্রান্ত আগলে রাখা পাক ওপেনার শাহজাইব খান। ভাঙা কোমর সোজা করার আগে বর্ষণের গোলায় বিদ্ধ হন আহমেদ হাসান। আর জীবনের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হন হারুন আরশাদ। আহমেদ ১১ আর আরশাদ ৭ রান করে আউট হন। মাত্র ৮৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে একপ্রকার ছিটকে পড়ে পাকিস্তান।সপ্তম উইকেটে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন আরাফাত মিনহাজ ও আলী আসফান্দ। দুজন মিলে জুটি গড়ে দলকে পৌঁছে দেন ১৩২ রানে। অনেক চেষ্টার পর আসফান্দকে নিজের শিকারে পরিণত করেন জীবন। ২৯ বলে ১৯ রান করে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এরপর ক্রিজে নামা উবাইদ শাহ ৬ বলে ১ রান তুলতেই স্টাম্প তুলে নেন জীবন। বর্ষণ এসে ফেরান ১১ বলে ৪ রান করা মোহাম্মদ জিশানকে।

তবে তখনও একপ্রান্ত আগলে পাকিস্তানকে লড়াইয়ে টিকিয়ে রেখেছিলেন মিনহাজ। শেষ পর্যন্ত ৪১তম ওভারে তাকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের ইনিংসের ইতি টানেন টাইগার অধিনায়ক মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
ক্রীড়া ডেস্ক,শনিবার ০৩ ফেব্রুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ সংবাদ



সর্বাধিক পঠিত



About Us | Privacy Policy | Terms & Conditions | Contact Us

(সম্পাদক)
কাজী আবু তাহের মোহাম্মদ নাছির
নির্বাহী সম্পাদক,
আফতাব খন্দকার (রনি)

বার্তা সম্পাদক-খন্দকার সোহাগ হাছান
সহ বার্তা সম্পাদক-কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক-কাজী আতিকুর রহমান আতিক

প্রধান কার্যালয়: গ-১০৩/২ মধ্যবাড্ডা প্রগতি স্বরণী বাড্ডা ঢাকা-১২১২|

Phone: +8801714043198, Email: hbnews24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © HBnews24.com