ঢাকার গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় রাজবাড়ী জেলার ৩ যাত্রীর নিখোঁজের খবর পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজ ৩ জনই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।
শুক্রবার (০৫ জানুয়ারি) রাজবাড়ী রেলস্টেশন হতে ঢাকার উদ্দেশ্যে ট্রেনটিতে যাত্রা করেছিলেন তারা।
এরা হলেন – রাজবাড়ী শহরের লক্ষীকোল গ্রামের এলিনা ইয়াসমিন (৪০), রাজবাড়ী সদর উপজেলার খানগঞ্জ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের চিত্তরঞ্জন প্রামাণিকের মেয়ে চন্দ্রিমা চৌধুরী সৌমি (২৪) ও একই জেলার কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়নের বড়ইচারা গ্রামের আবদুল হক মণ্ডলের ছেলে আবু তালহা (২৪)।জানা গেছে, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকায় যাওয়ার জন্য বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ওঠেন এলিনা ও সৌমিসহ ৬৫ জন যাত্রী। আর আবু তালহা ওঠেন ফরিদপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে। বাবার কুলখানি শেষে ছয় মাসের শিশু সন্তান, বোন ডেইজি আক্তার রত্না, বোনের স্বামী ইকবাল বাহার ও তাদের দুই সন্তানসহ বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে ‘চ’ বগিতে ঢাকায় যাচ্ছিলেন এলিনা। অন্যদিকে সৌমি ঢাকায় তার ভাইয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। আবু তালহার ঢাকা হয়ে সৈয়দপুরে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা ছিল। তবে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছানোর আগে রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে ভয়ানক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ট্রেনের ‘চ’ বগিসহ মোট চারটি বগি পুড়ে যায়। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলেই মারা যান চার যাত্রী। এরপর থেকেই নিখোঁজ এলিনা, সৌমি ও আবু তালহা।
সৌমির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ট্রেনে আগুন লাগার আধাঘণ্টা আগেও সৌমির সঙ্গে কথা হয় তার পরিবারের। তবে ট্রেনে আগুন লাগার পর থেকে তার খোঁজ পাচ্ছে না পরিবার। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্ত বলেন, বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনে রাজবাড়ী জেলার জন্য আসন বরাদ্দ থাকে মোট ৫৫টি। কিন্তু গতকাল শুক্রবার রাজবাড়ী থেকে আনুমানিক ৬৫ যাত্রী বেনাপোল এক্সপ্রেসে ঢাকার উদ্দেশ্য যায়।
ঢাকা,শনিবার ০৬ জানুয়ারি এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।