অসংখ্য ডুবোচর আর ঘন কুয়াশায় দশমিনা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্নতা

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে অসংখ্য ডুবোচর আর ঘন কুয়াশায় নৌযান চলাচলে বিঘ্নতা ঘটছে। এই রুটে চলাচলকারী ছোট-বড় লঞ্চগুলো এখন ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, হাজীরহাট ও আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট দিয়ে ঢাকা, বরিশাল, ভোলা জেলাসহ অন্যান্য গন্তব্যে যাত্রীরা চলাচল করছে।

উপজেলার সাধারন মানুষের যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই নদী পথ। কিন্তু সময়ের ব্যবধান ও প্রকৃতির বৈরিতায় এই সব নদী নাব্যতা সঙ্কটে পড়েছে। এক সময়ের উত্তাল ও খরস্রোতা নদীগুলোতেও পলি জমে চর জেগে উঠেছে। কোথাও কোথাও আবার নদী শুকিয়ে খালের মত হয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ রুটে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে ফলে লঞ্চ চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। নাব্যতা সংকটের কারণে দশমিনা-ঢাকা, দশমিনা-বরিশাল ও দশমিনা-ভোলা রুটে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নৌযান। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। কিছু পয়েন্টে ড্রেজিং করা হলেও বেশিরভাগ রুটের বেহাল দশা বলে জানিয়েছে লঞ্চ চালকরা।

জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌপথ। এখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে ওঠায় নৌযান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে না নৌযানগুলো। নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে।

লঞ্চের মাস্টার ও সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডুবোচরের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে চলতে হচ্ছে নৌযান গুলোকে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এই অঞ্চলের নৌপথ। এই অবস্থায় নৌপথের রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিংয়ের দাবি তোলেন ভুক্তভোগীরা। একই সঙ্গে বয়া ও মার্কার বাতি না থাকায় ঘন কুয়াশার সময়ে লঞ্চ চালাতে বিপাকে পড়তে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

একাধিক লঞ্চ চালক বলেন, নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে লঞ্চ চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এই কারণে গন্তব্যে যেতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। তাই এই নৌ পথে ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের চলাচলকারী একাধিক লঞ্চের মালিক বলেন, ডুবোচরের কারণে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। সঠিক সময়ে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। শুধু তাই নয় লঞ্চ চালাতে গিয়ে আমাদের পরিবহন খরচও অতিরিক্ত হচ্ছে। তাই রুটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছে। এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের দ্রæত ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।।

পটুয়াখালী,শনিবার ১৬ ডিসেম্বর এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ আপডেট



» মাধবদীতে অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কারনে হামলার শ্বীকার মেয়র মোশাররফ আগুনে পুড়ে ছাঁই পৌর ভাবন ও সোনালী টাওয়ার !

» বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত

» কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাব’র কমিটি গঠন সভাপতি মুক্তা, সম্পাদক রাসেল

» শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে দেশজুড়ে যে তাণ্ডব-হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তার দায় বিএনপি ও জামায়াতের

» নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৮১ জন কয়েদি আত্মসমর্পণ লুট করা ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার

» আন্দোলন চলাকালে বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় যারা নাশকতা চালিয়েছে তাদের ধরতে জনগণের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

» শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে কারফিউ শিথিল থাকবে।

» এইচএসসি ও সমমানের ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত

» মিরপুর ১০ নম্বর ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

» না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন মাইলস-এর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সুরকার ও গীতিকার শাফিন আহমেদ

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

 

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান

সহ বার্তা সম্পাদক: কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত নিউজপোর্টাল গভঃ রেজিঃ নং ১১৩

আজ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসংখ্য ডুবোচর আর ঘন কুয়াশায় দশমিনা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচলে বিঘ্নতা




সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে অসংখ্য ডুবোচর আর ঘন কুয়াশায় নৌযান চলাচলে বিঘ্নতা ঘটছে। এই রুটে চলাচলকারী ছোট-বড় লঞ্চগুলো এখন ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে যাতায়াত করছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া, হাজীরহাট ও আউলিয়াপুর লঞ্চঘাট দিয়ে ঢাকা, বরিশাল, ভোলা জেলাসহ অন্যান্য গন্তব্যে যাত্রীরা চলাচল করছে।

উপজেলার সাধারন মানুষের যোগাযোগ ও পণ্য পরিবহনের একমাত্র মাধ্যম ছিল এই নদী পথ। কিন্তু সময়ের ব্যবধান ও প্রকৃতির বৈরিতায় এই সব নদী নাব্যতা সঙ্কটে পড়েছে। এক সময়ের উত্তাল ও খরস্রোতা নদীগুলোতেও পলি জমে চর জেগে উঠেছে। কোথাও কোথাও আবার নদী শুকিয়ে খালের মত হয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণ রুটে অসংখ্য ডুবোচর জেগে উঠেছে ফলে লঞ্চ চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। নাব্যতা সংকটের কারণে দশমিনা-ঢাকা, দশমিনা-বরিশাল ও দশমিনা-ভোলা রুটে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে নৌযান। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। কিছু পয়েন্টে ড্রেজিং করা হলেও বেশিরভাগ রুটের বেহাল দশা বলে জানিয়েছে লঞ্চ চালকরা।

জানা যায়, দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের যোগাযোগের একমাত্র সহজ মাধ্যম নৌপথ। এখান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী লঞ্চে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমের শুরুতেই নদীতে অসংখ্য ডুবোচর জেগে ওঠায় নৌযান চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে যেতে পারছে না নৌযানগুলো। নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে।

লঞ্চের মাস্টার ও সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ডুবোচরের কারণে অনেক ক্ষেত্রেই জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে চলতে হচ্ছে নৌযান গুলোকে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে এই অঞ্চলের নৌপথ। এই অবস্থায় নৌপথের রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিংয়ের দাবি তোলেন ভুক্তভোগীরা। একই সঙ্গে বয়া ও মার্কার বাতি না থাকায় ঘন কুয়াশার সময়ে লঞ্চ চালাতে বিপাকে পড়তে হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

একাধিক লঞ্চ চালক বলেন, নদীতে নাব্যতা সংকটের কারণে লঞ্চ চলাচলে বিঘœ ঘটছে। এই কারণে গন্তব্যে যেতে অতিরিক্ত সময় লাগছে। তাই এই নৌ পথে ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের চলাচলকারী একাধিক লঞ্চের মালিক বলেন, ডুবোচরের কারণে যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। সঠিক সময়ে যাত্রীরা গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না। শুধু তাই নয় লঞ্চ চালাতে গিয়ে আমাদের পরিবহন খরচও অতিরিক্ত হচ্ছে। তাই রুটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ ও ড্রেজিং জরুরি হয়ে পড়েছে। এদিকে দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথের দ্রæত ড্রেজিং করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন যাত্রীরা।

সঞ্জয় ব্যানার্জী, দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।।

পটুয়াখালী,শনিবার ১৬ ডিসেম্বর এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

 

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান

সহ বার্তা সম্পাদক: কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

প্রধান কার্যালয়: গ-১০৩/২ মধ্যবাড্ডা প্রগতি স্বরণী বাড্ডা ঢাকা-১২১২ | ব্রাঞ্চ অফিস: ২৪৭ পশ্চিম মনিপুর, ২য় তলা, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

Phone: +8801714043198, Email: hbnews24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © HBnews24.com