আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগে সাক্ষরতার হার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের গুরুত্বও উল্লেখ করেন তিনি।রোববার (২৬ নভেম্বর) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেওয়া হয়। ফলাফল ঘোষণার আগে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।অবরোধ-অগ্নি সন্ত্রাসের মধ্যেও সময় মতো ফল প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা।
বর্তমান সরকারের উদ্যোগে সাক্ষরতার হার বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, এখন তো প্রতিনিয়ত অগ্নিসন্ত্রাস করেই যাচ্ছে। ফলে এখন ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো একটা ভীতির অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। অথচ যতক্ষণ তারা সঠিকভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচি করেছে, ততদিন কিন্তু তাদের কোনো অসুবিধা ছিল না। তাতে বিএনপি বা তাদের দলগুলির ভাবমূর্তিও আরও বেড়েছিল। কিন্তু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করার পর এখন জনগণের কাছ থেকে তারা আবার সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাধারণ মানুষ, একজন মানুষ হয়তো অনেক কষ্ট করে একটা বাস তৈরি করে, সেটা থেকে তার জীবন-জীবিকা চলে। সেটা যখন তার চোখের সামনে পুড়ে যায় বা বাসের ভেতরে হেলপার ঘুমিয়ে আছে, সেই অবস্থায় যখন একটা গাড়ি পোড়ায়… যারা এভাবে অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত বা যারা হুকুমদাতা, যারা অর্থদাতা, তদের আমরা কী করবো? তাদের কি ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেব? না, তাদের বিরুদ্ধে আইন্শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। কারণ তাদের বিরুদ্ধে যদি আমরা ব্যবস্থা না নেই, তাহলে এই জ্বালাও-পোড়াও তো তারা চালাতেই থাকবে।
‘আমাদের অনেকেই বলে, তাদের কেন গ্রেপ্তার করা হলো। তারা এটা বলে না, এরা অগ্নিসন্ত্রাসী, পুলিশ হত্যা করেছে, মানুষ হত্যা করেছে। এখন ডিজিটাল যুগ। সাধারণ মানুষও ছবি তোলে, সঙ্গে ছবি পাওয়া যায় এবং একেবারে চিহ্নিত। যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা আমাদের নিতে হবে। মানুষের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, জনগণের সুরক্ষা দিতে, নিরাপত্তা দিতে। সেটাই আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী করে যাচ্ছে এবং সেটাই করা হবে। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা এভাবে মানুষকে পোড়াবে, মানুষের সম্পদ নষ্ট করবে, জাতীয় সম্পদ নষ্ট করবে, তাদের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। আমি আশা করি এদের অন্তত একটু শুভবুদ্ধির উদয় হবে, এগুলো বন্ধ করবে। আর বন্ধ না করলে যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমাদের নিতেই হবে, জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
ঢাকা,রোববার ২৬ নভেম্বর এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।