আগামী দিনের কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে

আগামী দিনের কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কেউই যেন সেখান থকে পিছিয়ে না পড়ে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ ধর্মীয় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।স্পিকার বলেন, সব ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানবকল্যাণ। হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। সবার সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান ও সাম্যের ভিত্তিতে যে দেশ গড়ার প্রত্যয় আজ সৃষ্টি হয়েছে সেটা নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। পারস্পরিক সম্প্রীতি, মৈত্রী, সৃজনশীল ও সামগ্রিক মানবিক কল্যাণে নিবেদিত হতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দিকে সাহায্য ও উন্নয়নের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আগামী দিনের কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কেউই যেন সেখান থকে পিছিয়ে না পড়ে।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে যারা দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে, যে জনগোষ্ঠী এখনও নানা দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে, যারা এখনও বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার, তাদেরও আমাদের এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মূল ধারায় তাদেরও আমাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মতো একসঙ্গে কাজ করে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে নিতে চাই।

স্পিকার বলেন, মানবতাই ধর্মের শাশ্বত বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে। অন্যায় ও অসত্য থেকে দূরে রাখে, দেখায় মুক্তির পথ। তাই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি আমাদের মানবতার কল্যাণেও এগিয়ে আসতে হবে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আবহমান বাঙলার চিরায়িত বৈশিষ্ট্য অসাম্প্রদায়িকতা। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা পাশাপাশি বাস করবেন। এদেশে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির অনুপম দৃষ্টান্ত রয়েছে। এ সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে বৌদ্ধ ধর্মের নেতাদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনগণও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ সোনার বাংলায় যেকোনো ধর্মীয় উৎসব সমগ্র দেশ ও জাতিকে এক অপূর্ব মেলবন্ধনে আবদ্ধ করে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে সব ধর্মের বিভিন্ন উৎসবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। জাতীয় চেতনা ও শান্তি প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশে সব ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠীর মানুষ সাড়ম্বরে পালন করে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে ও শান্তির বাণী জাগ্রত করে।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, এর মূলে রয়েছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন তার রাজনৈতিক সাধনার মূলে অন্যতম যে আদর্শ নিয়ে কাজ করেছেন, সেটা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতাবাদ। এ দুটি আদর্শেই পরিচালিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার শব্দ দুটি একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দুটি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার রাজনৈতিক মূল দর্শন। তিনি চেয়েছিলেন, শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে। যেখানে প্রতিটি মানুষ তার মানবিক মর্যাদা, সাম্য ও ন্যায় বিচারের নিশ্চয়তা লাভ করবে। সব ধরনের মানুষের প্রতি ছিল তার সমান ভালোবাসা। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন। আমাদের সংবিধানেও সব ধর্মের মানুষের অধিকারের কথা বলা রয়েছে।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় মনোবল ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে আমরা আজ অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সংবিধানে সব ধর্মাবলম্বীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত রয়েছে। তাই নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন ও জীবনাদর্শ অনুযায়ী নিজেদের পরিচালিত করে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। সবাইকে মানবিকতার আলোকে এগিয়ে আসতে হবে। মানবিকতার আদর্শেই গড়ে উঠবে আগামী প্রজন্ম এটাই আমাদের প্রত্যাশা।বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘরাজ শাসনভাষ্কর শ্রীমৎ শাসনপ্রিয় মহাথেরের সভাপতিত্বে মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা।

এতে প্রধান ধর্মদর্শকের বক্তব্য দেন কুমিল্লার লাকসামের জ্যোতিঃপাল মহাথের বৌদ্ধ অনাথাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শিক্ষাবিদ শ্রীমৎ শকসনপ্রিয় মহাথের।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি প্রকৌশলী দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, নির্বাহী সভাপতি অশোক বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ ধর্মীয় মহাসম্মেলন উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান নেত্রসেন বড়ুয়া, মহাসচিব রাহুল বড়ুয়া, অর্থসচিব অমল বড়ুয়া প্রমুখ।

ঢাকা,শুক্রবার ২৪ নভেম্বর এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

সর্বশেষ আপডেট



» মাধবদীতে অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কারনে হামলার শ্বীকার মেয়র মোশাররফ আগুনে পুড়ে ছাঁই পৌর ভাবন ও সোনালী টাওয়ার !

» বাংলাদেশকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত

» কলাপাড়া রিপোর্টার্স ক্লাব’র কমিটি গঠন সভাপতি মুক্তা, সম্পাদক রাসেল

» শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে দেশজুড়ে যে তাণ্ডব-হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে, তার দায় বিএনপি ও জামায়াতের

» নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৪৮১ জন কয়েদি আত্মসমর্পণ লুট করা ৪৫ অস্ত্র উদ্ধার

» আন্দোলন চলাকালে বিটিভিসহ বিভিন্ন স্থাপনায় যারা নাশকতা চালিয়েছে তাদের ধরতে জনগণের সহযোগিতা চাইলেন প্রধানমন্ত্রী

» শুক্রবার ও শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে কারফিউ শিথিল থাকবে।

» এইচএসসি ও সমমানের ২৮, ২৯, ৩১ জুলাই ও ১ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত

» মিরপুর ১০ নম্বর ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোরেল স্টেশন পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী

» না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন মাইলস-এর জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী সুরকার ও গীতিকার শাফিন আহমেদ

 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

 

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান

সহ বার্তা সম্পাদক: কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধনপ্রাপ্ত নিউজপোর্টাল গভঃ রেজিঃ নং ১১৩

আজ শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী দিনের কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে




আগামী দিনের কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কেউই যেন সেখান থকে পিছিয়ে না পড়ে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ ধর্মীয় মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।স্পিকার বলেন, সব ধর্মের মর্মবাণী শান্তি ও মানবকল্যাণ। হিংসা-বিদ্বেষ পরিহার করে সমাজে শান্তি ও সাম্য প্রতিষ্ঠাই আমাদের লক্ষ্য। সবার সৌহার্দ্যপূর্ণ অবস্থান ও সাম্যের ভিত্তিতে যে দেশ গড়ার প্রত্যয় আজ সৃষ্টি হয়েছে সেটা নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই। পারস্পরিক সম্প্রীতি, মৈত্রী, সৃজনশীল ও সামগ্রিক মানবিক কল্যাণে নিবেদিত হতে হবে। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর দিকে সাহায্য ও উন্নয়নের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। আগামী দিনের কল্যাণকর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কেউই যেন সেখান থকে পিছিয়ে না পড়ে।

তিনি বলেন, আমাদের সমাজে যারা দরিদ্র ও হতদরিদ্র মানুষ রয়েছে, যে জনগোষ্ঠী এখনও নানা দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে, যারা এখনও বিভিন্ন ধরনের বৈষম্যের শিকার, তাদেরও আমাদের এগিয়ে নিয়ে আসতে হবে। দেশের প্রতিটি ক্ষেত্রে উন্নয়নের মূল ধারায় তাদেরও আমাদের সম্পৃক্ত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মতো একসঙ্গে কাজ করে আমরা বাংলাদেশকে উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে নিতে চাই।

স্পিকার বলেন, মানবতাই ধর্মের শাশ্বত বাণী। ধর্ম মানুষকে ন্যায়, সত্য ও কল্যাণের পথে আহ্বান করে। অন্যায় ও অসত্য থেকে দূরে রাখে, দেখায় মুক্তির পথ। তাই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলার পাশাপাশি আমাদের মানবতার কল্যাণেও এগিয়ে আসতে হবে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আবহমান বাঙলার চিরায়িত বৈশিষ্ট্য অসাম্প্রদায়িকতা। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীরা পাশাপাশি বাস করবেন। এদেশে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির অনুপম দৃষ্টান্ত রয়েছে। এ সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির বন্ধনকে সমুন্নত রাখতে বৌদ্ধ ধর্মের নেতাদের তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী জনগণও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছে।

তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ সোনার বাংলায় যেকোনো ধর্মীয় উৎসব সমগ্র দেশ ও জাতিকে এক অপূর্ব মেলবন্ধনে আবদ্ধ করে। তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটে থাকে সব ধর্মের বিভিন্ন উৎসবে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। জাতীয় চেতনা ও শান্তি প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে বাংলাদেশে সব ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠীর মানুষ সাড়ম্বরে পালন করে প্রতিটি ধর্মীয় উৎসব। যেকোনো ধর্মীয় উৎসবই মানুষে মানুষে নিবিড় বন্ধন রচনা করে ও শান্তির বাণী জাগ্রত করে।

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, এর মূলে রয়েছে আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাজীবন তার রাজনৈতিক সাধনার মূলে অন্যতম যে আদর্শ নিয়ে কাজ করেছেন, সেটা হচ্ছে অসাম্প্রদায়িকতা ও মানবতাবাদ। এ দুটি আদর্শেই পরিচালিত হয়েছে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম।

বঙ্গবন্ধু ও মানবাধিকার শব্দ দুটি একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দুটি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোই ছিল তার রাজনৈতিক মূল দর্শন। তিনি চেয়েছিলেন, শোষণ ও বঞ্চনামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে। যেখানে প্রতিটি মানুষ তার মানবিক মর্যাদা, সাম্য ও ন্যায় বিচারের নিশ্চয়তা লাভ করবে। সব ধরনের মানুষের প্রতি ছিল তার সমান ভালোবাসা। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন। আমাদের সংবিধানেও সব ধর্মের মানুষের অধিকারের কথা বলা রয়েছে।

স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় মনোবল ও দক্ষ নেতৃত্বের কারণে আমরা আজ অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা গড়ার দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের সংবিধানে সব ধর্মাবলম্বীদের সমান সুযোগ নিশ্চিত রয়েছে। তাই নতুন প্রজন্মকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন ও জীবনাদর্শ অনুযায়ী নিজেদের পরিচালিত করে দেশ সেবায় আত্মনিয়োগ করতে হবে। সবাইকে মানবিকতার আলোকে এগিয়ে আসতে হবে। মানবিকতার আদর্শেই গড়ে উঠবে আগামী প্রজন্ম এটাই আমাদের প্রত্যাশা।বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপ-সংঘরাজ শাসনভাষ্কর শ্রীমৎ শাসনপ্রিয় মহাথেরের সভাপতিত্বে মহাসম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই, এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা।

এতে প্রধান ধর্মদর্শকের বক্তব্য দেন কুমিল্লার লাকসামের জ্যোতিঃপাল মহাথের বৌদ্ধ অনাথাশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক শিক্ষাবিদ শ্রীমৎ শকসনপ্রিয় মহাথের।

এ ছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের সভাপতি প্রকৌশলী দিব্যেন্দু বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া, নির্বাহী সভাপতি অশোক বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক ভিক্ষু সুনন্দ প্রিয়, কঠিন চীবর দান ও জাতীয় বৌদ্ধ ধর্মীয় মহাসম্মেলন উদযাপন পরিষদের চেয়ারম্যান নেত্রসেন বড়ুয়া, মহাসচিব রাহুল বড়ুয়া, অর্থসচিব অমল বড়ুয়া প্রমুখ।

ঢাকা,শুক্রবার ২৪ নভেম্বর এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



সর্বাধিক পঠিত



 

প্রকাশক ও সম্পাদক: কাজী আবু তাহের মো. নাছির।

 

প্রধান নির্বাহী সম্পাদক: আফতাব খন্দকার (রনি)

 

বার্তা সম্পাদক: খন্দকার সোহাগ হাছান

সহ বার্তা সম্পাদক: কামাল হোসেন খান
সহ বার্তা সম্পাদক: কাজী আতিকুর রহমান আতিক (আবির)

প্রধান কার্যালয়: গ-১০৩/২ মধ্যবাড্ডা প্রগতি স্বরণী বাড্ডা ঢাকা-১২১২ | ব্রাঞ্চ অফিস: ২৪৭ পশ্চিম মনিপুর, ২য় তলা, মিরপুর-২, ঢাকা -১২১৬।

Phone: +8801714043198, Email: hbnews24@gmail.com

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা বা ছবি অনুমতি ছাড়া নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা সম্পূর্ণ বেআইনি । সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © HBnews24.com